জেলা পরিষদ নির্বাচন সম্পন্ন আওয়ামী লীগ ২৪, বিদ্রোহী ১২ স্বতন্ত্র ২ জন চেয়ারম্যান জয়ী
দেলওয়ার হোসাইন: দেশের তিন পার্বত্য জেলা বাদে অন্য ৬১ জেলায় প্রথমবারের মতো স্থানীয় সরকারের জেলা পরিষদ নির্বাচন কোনো ধরনের বড় কোনো গোলযোগ ছাড়াই শেষ হয়েছে। গতকাল বুধবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য বড় দলগুলো এই নির্বাচনে অংশ না নেওয়ায় ঢাকাসহ ২১ জেলায় ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীরা বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছে। বাকি ৪০টি জেলার মধ্যে বগুড়া ও কুষ্টিয়া জেলায় আদালতের আদেশে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন।
এছাড়া অন্য জেলারগুলোর মধ্যে অধিকাংশই আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীরা জয়লাভ করেছে। কয়েকটিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীও জয় পেয়েছেন। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সর্বশেষ বেসরকারি ফলাফল অনুযায়ী আওয়ামী লীগের ২৪ জন, আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী ১২ জন ও স্বতন্ত্র ২ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। নির্দলীয় এ নির্বাচনে প্রভাব খাটানো, ভয়ভীতি প্রদর্শন, ভোট কেনাবেচা ও আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ ওঠে ক্ষমতাসীনদের বিরুদ্ধে। এছাড়া ভোটের আগের দিন আদালতের আদেশে ২১ জেলার ৩৪টি ওয়ার্ডের ভোট স্থগিত করা হয়েছিল। মাদারীপুরের একটি কেন্দ্রে মারামারি এবং ময়মনসিংহে প্রকাশ্যে ভোট দেওয়ার অভিযোগ এনে দুই সদস্য পদপ্রার্থী বর্জনের ঘটনা ছাড়া সারা দেশে ভোট শেষ হয় শান্তিপূর্ণভাবে। গতকাল বেলা ১২টায় ঢাকার আগারগাঁও তালতলা সরকারি কলোনি উচ্চ বিদ্যালয় এবং পরে আজিমপুর গার্লস স্কুল কেন্দ্র ঘুরে দেখে সন্তোষ প্রকাশ করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। একই কথা বললেন নির্বাচন কমিশনার মো. শাহ নেওয়াজ। তিনি বলেন, আদালতের আদেশে স্থগিত কেন্দ্রগুলো ছাড়া বাকি সব কেন্দ্রে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছে। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার তথ্য আমাদের কাছে আসেনি।
দেশের বিভিন্ন জেলায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নির্দলীয় এ নির্বাচনে প্রভাব খাটানো, ভয়ভীতি প্রদর্শন, ভোট কেনাবেচা ও আচরণবিধি লঙ্ঘন করা হয়েছে। একাধিক প্রার্থী ও ভোটার এই অভিযোগ করেছেন। ভোটের আগের দিনও সুনামগঞ্জের দোয়ারা বাজারে আড়াই লাখ টাকাসহ এক সদস্য প্রার্থীর সমর্থককে আটক করে পুলিশ। ভোট প্রভাবমুক্ত রাখতে ইসির পক্ষ থেকে স্পিকারকে চিঠি দিয়ে সংসদ সদস্যদের এলাকা ছাড়তে বলা হয়। জামালপুরের পুলিশ সুপারকে করা হয় প্রত্যাহার। ভোটার সংখ্যা কম হলেও ভোটকেন্দ্রে কড়া নিরাপত্তা ছিল। প্রতিটি কেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি নির্বাহী হাকিম রাখা হয়। কোনো ভোটার মোবাইল ফোন বা কোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন না বলেও নিয়ম করা হয়। সব মিলিয়ে ভোটার সংখ্যা ৬৩ হাজার ১৪৩ জন হলেও এ নির্বাচন আয়োজনে ইসির খরচ ধরা হয়েছে সোয়া পাঁচ কোটি টাকা।
৩৮ জেলা পরিষদে চেয়ারম্যান হলেন যারা : দেশের ৬১ জেলার মধ্যে (পার্বত্য তিন জেলা ব্যতীত) ২১টি জেলা পরিষদে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। বাকি ৩৯টি জেলার মধ্যে বগুড়া ও কুষ্টিয়া জেলায় চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন। জেলা প্রতিনিধিদের পাঠানো সংবাদগুলো তুলে ধরা হলোÑ
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি এস.এম. সাগর জানান, আওয়ামী লীগ-সমর্থিত প্রার্থী মো. জাফর আলী আনারস প্রতীকে ৬৫০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কাপপিরিচ প্রতীকের পনির উদ্দিন আহমেদ পেয়েছেন ২৭৯ ভোট।
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি শেখ ফরিদ আহমেদ ময়না জানান, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মো. নজরুল ইসলাম মোটরসাইকেল প্রতীকে ৬৪৮ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ-সমর্থিত মুনসুর আহমেদ আনারস প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১৭৮ ভোট।
পিরোজপুর প্রতিনিধি খেলাফত হোসেন খসরু জানান, চেয়ারম্যান পদে জিতেছেন বিদ্রোহী প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মহিউদ্দিন মহারাজ। তিনি পেয়েছেন ৪২৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ-সমর্থিত প্রার্থী অধ্যক্ষ শাহআলম পেয়েছেন ৩০২ ভোট।
চাঁদপুর প্রতিনিধি মিজান লিটন জানান, আওয়ামী লীগ-সমর্থিত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আলহাজ ওসমান গণি পাটোয়ারী মোবাইল প্রতীকে ৭৬৭ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী নুরুল আমিন রুহুল ঘোড়া প্রতীকে ৪১৪ ভোট পেয়েছেন।
বরিশাল প্রতিনিধি শামীম আহমেদ জানান, আওয়ামী লীগ-সমর্থিত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মো. মইদুল ইসলাম বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তিনি আনারস প্রতীক পেয়েছেন ৯৬৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী খান আলতাফ হোসেন ভুলু ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ২৫৫ ভোট।
নীলফামারী প্রতিনিধি নূর আলম সিদ্দিকী জানান, চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. জয়নাল আবেদীন বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৪৪২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের অ্যাডভোকেট মমতাজুল হক পেয়েছেন ৪১১ ভোট।
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি জহিরুল ইসলাম শিবলু জানান, চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ-সমর্থিত প্রার্থী সামছুল ইসলাম ৫৫৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী পেয়েছেন ১৯৭ ভোট।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি তৌহিদুর রহমান নিটল জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদ নির্বাচনে ৬৫০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. শফিকুল আলম। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ প্রার্থী সৈয়দ এমদাদুল বারী পেয়েছেন ৫৯৯ ভোট।
নরসিংদী প্রতিনিধি মজিবুর রহমান জানান, নরসিংদীর জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী অ্যাডভোকেট আসাদোজ্জামান বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
গাইবান্ধা প্রতিনিধি রফিকুল ইসলাম জানান, জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমান সরকার (ঘোড়া) বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
বরগুনা প্রতিনিধি বিরেন্দ্র জানান, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী দেলোয়ার হোসেন ঘোড়া প্রতীক নিয়ে ৫৯৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি রোকনুজ্জামান মিলন জানান, ঝিনাইদহ জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বাবু কনক কান্তি দাস বিজয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৫৩৭ ভোট।
মাগুরা প্রতিনিধি রক্সী খান জানান, এ জেলায় চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী পঙ্কজ কুমার কু-ু। তিনি পেয়েছেন ২৭০ ভোট।
মেহেরপুর প্রতিনিধি আক্তারুজ্জামান জানান, মেহেরপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে ১০৭ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী গোলাম রসুল। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মিয়াজান আলী পেয়েছেন ৮৪ ভোট।
সিলেট প্রতিনিধি আশরাফ চৌধুরী রাজু জানান, সিলেটে চেয়ারম্যান পদে জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী অ্যাডভোকেট লুৎফুর রহমান। আনারস প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৭৯৬ ভোট। অন্যদিকে, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এনামুল হক সরদার কাপ-পিরিচ প্রতীক নিয়ে ৫৫৩ ভোট পেয়েছেন।
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি রাজু আহমেদ রমজান জানান, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী নুরুল হুদা মুকুট বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন।
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি স্বপন কুমার জানান, মৌলভীবাজারে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী মো. আজিজুর রহমান ৩৪২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
লালমনিরহাট প্রতিনিধি জানান, লালমনিরহাট জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী অ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমান বিজয়ী হয়েছেন।
মাদারীপুর প্রতিনিধি জানান, মাদারীপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী মিয়াজ উদ্দিন খান বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন।
রংপুর প্রতিনিধি মোস্তাফিজার রহমান বাবলু জানান, রংপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত সিফিয়া খানম ৭৫২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাসদ (আম্বিয়া-বাদল) সমর্থিত আব্দুর সাত্তার পেয়েছেন ৩১৯ ভোট।
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি জানান, চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী শামসুল আবেদীন খোকন (মোবাইল) বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি মোট ভোট পেয়েছেন ২৬৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মাহফুজুর রহমান মঞ্জু (মোটরসাইকেল) পেয়েছেন ২৪৭ ভোট।
রাজশাহী প্রতিনিধি মহিব্বুল আরেফিন জানান, বেসরকারিভাবে রাজশাহী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মোহাম্মদ আলী সরকার। আনারস প্রতীক নিয়ে তিনি পেয়েছেন ৭৪২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আওয়ামী লীগ মনোনীত মাহবুব জামান ভুলু তালগাছ প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৪১৭ ভোট।
শরীয়তপুর প্রতিনিধি জানান, চেয়ারম্যান পদে জিতেছেন আওয়ামী লীগ-সমর্থিত ছাবেদুর রহমান খোকা।
পাবনা প্রতিনিধি কলিট তালুকদার জানান, চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ-সমর্থিত প্রার্থী রেজাউল রহিম লাল বেসরকারিভাবে জয়ী হয়েছেন।
পঞ্চগড় প্রতিনিধি রাশেদ জানান, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আমানুল্লাহ বাচ্চু চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে জয়ী হয়েছেন।
রাজবাড়ী প্রতিনিধি জানান, রাজবাড়ীতে জেলা পরিষদ নির্বাচনে তালগাছ প্রতীক নিয়ে ৫০৫ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের ফকির আব্দুল জব্বার।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি মো. আসাদুল্লাহ জানান, চাঁপাইনবাবগঞ্জে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ-সমর্থিত প্রার্থী মইনুদ্দিন ম-ল জয়ী হয়েছেন।
পটুয়াখালী প্রতিনিধি জানান, পটুয়াখালীতে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ-সমর্থিত প্রার্থী খান মোশাররফ জয়ী হয়েছেন।
বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত যারা- নারায়ণগঞ্জে আনোয়ার হোসেন, গাজীপুরে মো. আখতারুজ্জামান, ঠাকুরগাঁওয়ে সাদেক কোরাইশী, জয়পুরহাটে আরিফুর রহমান রকেট, নাটোরে সাজেদুর রহমান খাঁন, সিরাজগঞ্জে আব্দুল লতিফ বিশ্বাস, যশোরে শাহ হাদিউজ্জামান, বাগেরহাটে শেখ কামরুজ্জামান টুকু, ঝালকাঠিতে সরদার শাহ আলম, ভোলায় আব্দুল মোমিন টুলু, নেত্রকোনায় প্রশান্ত কুমার রায়, মুন্সীগঞ্জে মো. মহিউদ্দিন, দিনাজপুরে আজিজুল ইমাম চৌধুরী, নওগাঁয় এ কে এম ফজলে রাব্বি, ফেনীতে আজিজ আহমেদ চৌধুরী, কিশোরগঞ্জে মো. জিল্লুর রহমান, ঢাকায় মো. মাহবুবুর রহমান, হবিগঞ্জে মো. মুশফিক হুসেন চৌধুরী, চট্টগ্রামে এম এ সালাম, টাঙ্গাইলে ফজলুর রহমান খান ফারুক ও ফরিদপুরে মো. লোকমান মৃধা।