জেলা কমিটি ভেঙে দেয়া হয়েছে মহানগর কমিটি গঠন হবে নারায়ণগঞ্জে সংগঠন গোছাতে ব্যস্ত বিএনপি
বিশ্বজিৎ দত্ত ও শাহানুজ্জামান টিটু: নির্বাচনে হারার পরেও সারাদেশের তুলনায় নারায়ণগঞ্জে বিএনপির অবস্থা ভাল বলে মনে করছেন বিএনপির স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ও নির্বাচিত কাউন্সিলররা। তাদের মতে বিএনপির সাংগঠিক কিছু দুর্বলতা, অপেক্ষাকৃত নতুন প্রার্থীকে মেয়রপদে নমিনেশন ও ব্যক্তি আইভির নিজস্ব ইমেজের কাছে হেরেছে বিএনপি। তারা বলেন, সংরক্ষিত মহিলা আসনসহ নারায়ণগঞ্জের ৩৫টি আসনের মধ্যে বিএনপি ১৬টি কাউন্সিলর পদে জয়ী হওয়াই তার প্রমাণ। এবিষয়ে মেয়রপদে পরাজিত বিএনপি প্রার্থী শাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, নারায়ণগঞ্জে বিএনপির শক্ত অবস্থান রয়েছে। এই অবস্থানকে সংঘটিত করার জন্য এখন কাজ করবো। বিএনপির নেতৃবৃন্দ যদি আমাকে নারয়ণগঞ্জের দায়িত্ব দেয় তবে আমি বিএনপির সাংগঠনিক দুর্বলতাগুলো দূর করে নতুন করে বিএনপির ওয়ার্ড কমিটিগুলো গঠন করবো। কেন্দ্র যদি অন্য কাউকে নারয়ণগঞ্জের দায়িত্ব দেয় তবে তাকেও সহায়তা করবো। তাছাড়া সামাজিক দায়িত্ব পালনও করবো। তিনি বলেন, আমার হারার পিছনে বিএনপির অগোছালো সাংগঠনিক অবস্থাই প্রধান কারণ। বিএনপি থেকে নির্বাচিত ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার বলেন, বিএনপির জেলা কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়েছে। মহানগর হওয়ার পর কোনো কমিটি গঠন করা হয়নি। এখন নতুন কমিটি গঠনে কাজ করছি। সেলিনা হায়াৎ আইভী ব্যক্তিগতভাবে নারায়ণঞ্জে খুবই জনপ্রিয়। তিনি গত দুই টার্মে অনেক উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন। সুতরাং তার নির্বাচনটিকে শুধু দলীয়ভাবে দেখলে চলবে না। এখন বিএনপির উচিত হবে সামাজিক যোগাযোগ বৃদ্ধি করা। কারণ বিএনপির যথেষ্ট সাপোর্টার নারায়ণগঞ্জে রয়েছে। তাদেরও উচিত হবে আইভীর সামাজিক যোগাযোগের ইমেজ ছাপিয়ে অতিরিক্ত ইমেজ তৈরি করা। আগামীতে নারায়ণগঞ্জে বিএনপির এধরনের একটি কমিটি প্রয়োজন।
১২ নম্বর ওয়ার্ডের বিএনপির নির্বাচিত কমিশনার, শওকত হোসেন সাকু বলেন, আমি অনেক ব্যস্ত। কারণ বিএনপির কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়েছে। নতুন কমিটি গঠনের কাজ চলছে। সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে সরাসরি রাজনীতি করেন এমন ব্যক্তিকে নমিনেশন না দিয়ে ভুল হয়েছে।
বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন বলেন, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে বিএনপির অবস্থান দলীয়ভাবে ইতিমধ্যে বলা হয়েছে। তাই ওই বিষয়ে এখন কোনো কথা বলবো না। তবে নির্বাচন পরবর্তী নারায়ণগঞ্জ বিএনপির সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে দলীয় ফোরামে আলোচনা হচ্ছে। যদিও সাংগঠনিকভাবে দলকে গোছানোর বিষয়টি অনেক আগে থেকেই চিন্তা-ভাবনা চলছিলো সিটি নির্বাচনের কারণে তা একটু বিলন্বিত হয়েছে মাত্র।
তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটি করা হবে। এছাড়া সিটি করপোরেশন হওয়ার কারণে সেখানে এখনো মহানগর কমিটি করা হয়নি। তাই এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা চলছে স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় পর্যায়ে। তবে কবে নাগাদ এই প্রক্রিয়া শেষ করা যাবে এটা সুনির্দিষ্টভাবে বলা যাচ্ছে না। নারয়ণগঞ্জের প্রতিনিধি নূরুল আজিজ চৌধুরী জানান, বিএনপির জেলা কমিটিতে এবারে আগের সভাপতি তৈমূর আলম খন্দকার নাও আসতে পারেন, বাদ পড়তে পারেন, সাবেক সংসদ সদস্য গিয়াস উদ্দিন ও আবুল কাসেম। মহানগর কমিটিতে আসতে পারেন, এটিএম কামাল ও কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার। সম্পাদনা : কিরণ সেখ।