এম রবিউল্লাহ: মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের বিষয়টি প্রমাণ হয়েছে। তাই রাশিয়াকে শাস্তি দিতে হোয়াইট হাউস প্রস্তুত বলে নাম না প্রকাশের শর্তে এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
ওই কর্মকর্তা বলেন, অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা ও কূটনৈতিক অভিযোগসহ অনেক ধরনের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে হোয়াইট হাউস। তবে কি ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে সে সম্পর্কে এখনো চূড়ান্ত হয়নি। আগামী সপ্তার মধ্যেই চূড়ান্ত কি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে তা প্রকাশ করা হবে বলেও জানান ওই কর্মকর্তা। হোয়াইট হাউস বিদেশিদের হ্যাকারদের বিরুদ্ধে কিভাবে ব্যবস্থা নেওয়া যায় সেই বিষয়ে ডিবেট হওয়ার পরে গত বছরই নির্দেশ দিয়েছিল বিদেশি হ্যাকারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে। কারণ বিদেশি হ্যাকাররা যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি ও জাতীয় নিরাপত্তার উপর ক্ষতিসাধন করছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ হয়।
রাশিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তারা কাজ করছেন। গত সপ্তায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করার জন্য রাশিয়াকে জবাব দেওয়া হবে বলে ঘোষণা দেন। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প দায়িত্ব গ্রহণ করলে এই বিষয়টি নিয়ে আগাতে হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তাদের জন্য অনেক কঠিন হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এর আগে খোদ রিপাবলিকানরাই মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার হ্যাকিংয়ের জন্য উদ্বেগ প্রকাশ করে। মার্কিন রিপাবলিকান নেতা ও জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের চেয়ারম্যান জন ম্যাকেইন রাশিয়ার হ্যাকিং প্রতিরোধ করতে কার্যকরী ব্যবস্থা নিতে আহবান জানান।
যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের বিষয়ে অভিযোগ করা হলেও বরাবরই তা নাকচ করে আসছে রাশিয়া। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন এই মার্কিন নির্বাচনের হ্যাকিংয়ে সরাসরি নির্দেশনা দিয়েছেন বলে অভিযোগ করা হলে পুতিন তা অস্বীকার করেছেন। সিএনএন ও এনডিটিভি অবলম্বনে