কাঁচপুর, মেঘনা ও গোমতি দ্বিতীয় সেতু নির্মাণ উদ্বোধন জানুয়ারিতে
শারমিন আজাদ: জানুয়ারিতে কাঁচপুর, মেঘনা ও গোমতি দ্বিতীয় সেতু নির্মাণ প্রকল্প উদ্বোধন করবেন যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এ প্রকল্পে মোট ব্যয় হবে ৮ হাজার ৪৮৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা জাইকা দেবে ৬ হাজার ৪২৯ কোটি টাকা। আর সরকার ব্যয় করবে ২ হাজার ৫৭ কোটি টাকা। গত ২০১৩ সালের ১০ মার্চ বাংলাদেশ সরকার ও জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির মধ্যে প্রথম ধাপে ২ হাজার ৮৯৪ কোটি ইয়েনের ঋণচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। প্রকল্পটি ২০১৩ সালের ২৩ এপ্রিল একনেকে অনুমোদিত হয়। প্রকল্পটির বাস্তবায়নকাল ধরা হয়েছে এপ্রিল ২০১৩ থেকে অক্টোবর ২০২১ সাল পর্যন্ত। প্রকল্পের পরামর্শক প্রতিষ্ঠান কাজ শুরু করে ২০১৪ সালের ১ ফেব্রুয়ারি। জাইকার অর্থায়নে সেতুগুলোর নির্মাণ, পুনর্বাসন ও পরামর্শক ব্যয় মেটানো হবে। আর সরকারের অর্থায়নে মেটানো হবে ভ্যাট-ট্যাক্স, প্রশাসনিক ও পুনর্বাসন সংক্রান্ত ব্যয়। প্রকল্পের ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান হলো ওএসজেআই জয়েন্ট ভেঞ্চার, ওবায়েশি কর্পোরেশন, শিমিজু কর্পোরেশন, জেএফই ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশন এবং আইএইচআই ইনফ্রাস্ট্রাকচার সিসটেম কো. লিমিটেড। ঠিকাদারের সাথে চুক্তি স্বাক্ষর হয় ২০১৫ সালের ২৫ নভেম্বর।
প্রকল্পের প্রধান কাজ হলো ২য় কাঁচপুর সেতুতে বিদ্যমান সেতুর পাশেই ভাটিতে ৪ লেন সেতু নির্মাণ করা হবে। সেতুর দৈর্ঘ্য ৩৯৭ দশমিক ৩ মিটার। ৮ লেন বিশিষ্ট অ্যাপ্রোচ সড়ক হবে যার দৈর্ঘ্য ৭০৩ দশমিক ৫ মিটার। প্রকল্প শেষ হওয়ার পর কাঁচপুর সেতু হবে মোট ৮ লেন। রাজধানী ঢাকা ও চট্টগ্রাম এবং ঢাকা ও সিলেটের মধ্যে নির্বিঘœ সড়ক যোগাযোগ নিশ্চিত করতে কাঁচপুর প্রান্তে ফ্লাইওভার ও ইন্টারসেকশন নির্মাণ করা হবে। এর প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ৮২ কোটি টাকা।
২য় মেঘনা সেতু প্রকল্পে বিদ্যমান সেতুর পাশেই উজানে ৪ লেন সেতু নির্মাণ করা হবে। সেতুর দৈর্ঘ্য ৯৩০ মিটার। ৬ লেন বিশিষ্ট অ্যাপ্রোচ সড়ক হবে যার দৈর্ঘ্য ৮৭০ মিটার। প্রকল্প সমাপ্তির পর মেঘনা সেতু হবে মোট ৬ লেন।
২য় গোমতি সেতুতে বিদ্যমান সেতুর পাশেই ভাটিতে ৪ লেন সেতু নির্মাণ করা হবে। সেতুর দৈর্ঘ্য হবে ১৪১০ মিটার। ৬ লেন বিশিষ্ট অ্যাপ্রোচ সড়ক হবে যার দৈর্ঘ্য ১০১০ মিটার। প্রকল্প সমাপ্তির পর গোমতি সেতু হবে মোট ৬ লেন।
প্রকল্পের সাইট অফিস, ল্যাবরেটরি, ওয়ার্কশপ নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে। দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞদের জন্য তৈরি করা হয়েছে বাসস্থান। প্রকল্পে নিয়োজিত বিদেশি নাগরিকদের নিরাপত্তার স্বার্থে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো এবং যথেষ্টসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
জানুয়ারি ২০১৯ এ নতুন ৩টি সেতু যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হবে। ফেব্রুয়ারি ২০১৯ এ পুরাতন ৩টি সেতু পুনর্বাসন কাজ শুরু করে ডিসেম্বর ২০১৯ এ শেষ হবে। সম্পাদনা: এনামুল হক