মতবিনিময় কালে মুুহাম্মদ শফিকুর রহমান শুধু ডাল-পুরি খাওয়ার স্থান নয়, প্রেসক্লাব হবে এশিয়ার শ্রেষ্ঠ প্রেসক্লাব
জাফর আহমদ: প্রেসক্লাব শুধুমাত্র ডাল-পুরি খাওয়ার জায়গা হবে না, প্রেসক্লাব হবে এশিয়ার শ্রেষ্ঠ প্রেসক্লাব। এখান থেকে সাংবাদিকরা তাদের পেশাগত সর্বোচ্চ উৎকর্ষতা অর্জনে সহায়তা নেবে। জাতীয় প্রেসক্লাব নির্বাচন-২০১৬ এর প্রচারণার শেষ দিনে গতকাল দৈনিক আমাদের অর্থনীতি কার্যালয়ে এক বৈঠকে শফিক-ফরিদা পরিষদের নেতৃবৃন্দ এ কথা বলেন।
বৈঠকে বক্তব্য রাখেন, শফিক-ফরিদা পরিষদের সভাপতি পদপ্রার্থী মুুহাম্মদ শফিকুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী ফরিদা ইয়াসমিন, বিএফইউজে এর সভাপতি মঞ্জুরুল আহমান বুলবলু, ভোরের কাগজ সম্পাদক ও সদস্য পদপ্রার্থী, শ্যামল দত্ত, প্রার্থী মোল্লা জালাল প্রমুখ। বৈঠকটি উপস্থাপনা করেন আমাদের অর্থনীতির নির্বাহী সম্পাদক বিশ্বজিৎ দত্ত।
বৈঠক শেষে বিএফইউজে এর সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল বলেন, আমাদের প্যানেলের নির্বাচনি আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু করেছিলাম ডেইলি স্টার থেকে। শেষ করলাম আমাদের অর্থনীতিতে এসে।
বৈঠকে মুহাম্মদ শফিকুর রহমান বলেন, জাতীয় প্রেসক্লাবের অচলাবস্থা ভাঙ্গার পর যে পরিবর্তন সূচিত হয়েছে এ পরিবর্তনকে ধরে রাখতে হবে। প্রতিবিপ্লবী কিছু যাতে না হয় সেদিকে দৃষ্টিতে রাখতে হবে। বর্তমান অবস্থা চলমান রাখতে হবে। এর জন্য মুক্তিযুদ্ধের ধারার সাংবাদিকদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। নিজের মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, যে হাতে অস্ত্র ধরেছি সে হাত দিয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিরোধীদের সাথে কোনো সখ্যতা নয়। মুহাম্মদ শফিকুর রহমান-ফরিদা ইয়াসমিন প্যানেলের বাইরে যারা নির্বাচন করছে তাদের মূলধারা বিচ্যুৎ বলে তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, দরজা বন্ধ করে প্রসক্লাব চলবে না। প্রেসক্লাব চলবে খোলামন নিয়ে। স্বাধীনতা অর্জনে সাংবাদিকদের অনেক ত্যাগ আছে উল্লেখ করে এই প্রবীন সাংবাদিক বলেন, সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে সাংবাদিক উজ্জ্বল ভূমিকা রেখেছে। স্বাধীনতাপূর্ব আইউব খান পত্রিকার উপর বিধি-নিষেধ আরোপ করলে এই প্রেসক্লাব থেকে আকরাম খানের নেতৃত্বে প্রতিবাদ গড়ে তোলা হয়েছিল। স্বাধীনতা পরবর্তী এরশাদ বিরোধী আন্দোলনেও প্রেসক্লাব অনন্য সাধারণ ভূমিকা রেখেছিল। এরই ধারাবাহিকতায় প্রেসক্লাবকে যোগ্যতা ও মেধাবী মানুষের প্রতিষ্ঠান করা হবে।
তিনি বলেন, আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রেসক্লাবকে ১০তলা করে দেওয়া প্রস্তাব করেছিলাম। কিন্তু তার উদারতার প্রমাণ করে দেশের সর্বোচ্চ ভবন ৩১তলা করে দেওয়ার প্রস্তাব করেন। বঙ্গবন্ধু কন্যার স্বপ্ন বাস্তবায়নে স্বাধীনতার পক্ষের মূলধারার সাংবাদিকদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
বক্তব্যে সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, আমরা জয়ী হলে আরও সদস্য নেওয়া হবে। সকল সদস্যের সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করা হবে। বঙ্গবন্ধু মিডিয়া ভবন সম্পন্ন হবে। প্রেসক্লাবকে সাংবাদিকদের ‘সেকেন্ড হোম’ হিসাবে প্রতিষ্ঠা করা হবে। সাংবাদিকদের কল্যাণ তহবিল করা হবে। এবং খাবারের মান বৃদ্ধি করা হবে।
মঞ্জুরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, ভাল সাংবাদিক ভাল নেতা তৈরি করে। ভাল নেতা ভাল মানুষ তৈরি করে। বাটপার নেতা হলে সাংবাদিকতার ক্ষতি করে। ভাল মানুষ নেতা বলে পেশা, সমাজের প্রতি যে দায়িত্ব আছে তা যথাযথ পালন করে। প্রেসক্লাবের নির্বাচনে এমন নেতাকে বেছে নিতে হবে পেশা হিসাবে সাংবাদিকতা সবার উপরে তুলে প্রতিষ্ঠা করতে পারে। শফিক-ফরিদা হবে সেই ধরনের নেতৃত্ব। সম্পাদনা : শাহানুজ্জামান টিটু