ব্যবস্থাপনায় ইতিবাচক পরিবর্তন কৃষিঋণ ফেরত বাড়ছে
জাফর আহমদ: কৃষি ঋণ ফেরতের হার বেড়েছে। চলতি বছরের ৫ মাসে কৃষকরা ফেরত দিয়েছে ৬,৯৬৯ কোটি ৪২ লক্ষ টাকা। গত বছরের একই সময়ে কৃষকরা ঋণ ব্যবহার শেষে ফেরত দিয়েছিল ৬,০৯০ কোটি ১২ লক্ষ টাকা। এই ৫ মাসে ঋণ ফেরত বেড়েছে প্রায় ৯ শত কোটি টাকা।
বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মোট বিতরণকৃত ঋণের ২ শতাংশ কৃষকদের মাঝে বিতরণ করা নির্দেশ আছে। যে সব ব্যাংকের পল্লী অঞ্চলে নিজস্ব নেটওয়ার্ক নেই সে সব ব্যাংককে এনজিও বা অন্য কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বিতরণের নির্দেশনা আছে বাংলাদেশ ব্যাংকের। এরই ধারাবাহিকতায় চলতি অর্থবছরে কৃষি ঋণ বিতরনের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৭ হাজার ৫৫০ কোটি টাকা। পাঁচ মাসে বিতরণ করা হয়েছে ৭ হাজার ৫৭১ কোটি ৭ হাজার টাকা। যা লক্ষ্যমাত্রার ৪৩ শতাংশ। সেই সাথে বেড়েছে ঋণ ফেরত দেওয়ার হার।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও সংশ্লিষ্ট বিভাগের নির্বাহী পরিচালক শুভঙ্কর সাহা বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে কৃষিঋণ বিতরণে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর বিভিন্ন মুখি উদ্যোগ গ্রহণ, প্রকাশ্যে কৃষিঋণ বিতরণ এবং খেলাপি ঋণ আাদায়ে সার্টিফিকেট মামলার পরিবর্তে স্থানীয় মুরব্বীদের সাথে সালিশি ব্যবস্থায় যাওয়ার কারণে একদিকে যেমন ঋণ আদায় বাড়ছে। অন্যদিকে ঋণের বিতরণও বেড়েছে। আশা করছি আগামীতে এ হার আরও বাড়বে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী আদায়যোগ্য কৃষিঋণের আদায় হয়েছে ৫২ শতাংশ। গতবছর একই সময়ে এ হার ছিল ৪৮ শতাংশ। এ ঋণের ৩৭ দশমিক ৬৭ শতাংশ আদায় হয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংকগুলোর। যার পরিমান তিন হাজার ৬০২ কোটি ৫৮ লক্ষ টাকা। রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংকগুলোর আদায় আর কম হলেও পরিমানে বেশি। এর মধ্যে শুধু বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকই আদায় করেছে ২,০৭১ কোটি ১৪ লক্ষ টাকা। অন্যদিকে বেসরকারি ব্যাংকগুলোর আদায় হয়েছে ৮৮ দশমিক ৫৬ শতাংশ। টাকার অঙ্কে বেসরকারি ব্যাংকগুলো আদায় হয়েছে ৩ হাজার ৩৬৬ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। কৃষিঋণ আদায়ের ক্ষেত্রে বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর আদায় হার রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংকগুলোর আদায় প্রায় দ্বিগুন।
রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংকের একটি সুত্র জানায়, এ সব ব্যাংকের পুরনো ঋণ বিদ্যমান আছে ও দীর্ঘদিন ধরে আনাদায়ি পড়ে আছে। এ সব ঋণ আদায় না হওয়ার কারণে রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংকগুলোর আদায়ের হার বাড়ছে না। সম্পাদনা: এনামুল হক