বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক ব্যক্তি কিম জং উন!
এম রবিউল্লাহ: ২০১৭ সালের মধ্যেই বিশ্বের সবচেয়ে পারমাণবিক শক্তিধর দেশ হওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেছে উত্তর কোরিয়া। দেশটির সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন এই ইচ্ছা পোশষ করেছেন বলে বুধবার সিএনএনের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন বৃহস্পতিবারও উত্তর কোরিয়ার এই নেতাকে নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
২০১৬ সালে উত্তর কোরিয়া দুইটি পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে। এর মধ্যে একটি জানুয়ারিতে আর অন্যটি সেপ্টেম্বরে। আর এটি চালানো হয় সাগরে ও ভূমিতে। উত্তর কোরিয়ার এমন ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষায় বিশ্বের মানুষের মধ্যে উদ্বেগের তৈরি হয়। বিশেষ করে পশ্চিমা বিশ্বে।
মার্কিন মিলিটারি প্যাসিফিক কমান্ডার অ্যাডাম হ্যারি হ্যারিস ডিসেম্বরের ভাসনে বলেন, ব্যালেস্টিক মিসাইলের মতো প্রযুক্তি উত্তর কোরিয়ার অস্থির নেতা কিম উনের কাছে থাকা বিশ্বকে হুমকির মধ্যে ফেলে দেবে। ধ্বংসের দিকে নিয়ে যেতে পারে পৃথিবীকে। অন্যদিকে র্যান্ড কর্পোরেশনের থিঙ্কট্যাঙ্ক ও সিনিয়র প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক ব্রুশ বিনেট বলেন, উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক ব্যক্তি হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।
তবে উত্তর কোরিয়ার নেতার অঙ্গভঙ্গিতে কি আসলে হুমকি প্রকাশ পাচ্ছে? সেপ্টেম্বরের মিসাইল পরীক্ষা শেষে পিয়ং ইয়ং দাবি করেছে ব্যালেস্টিক রকেট ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা সফল হয়েছে। উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে দাবি করা হয়, দেশটি ছোট, বড়, মাঝারি ও লাইটারসহ বৈচিত্রময় পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র বানাতে সক্ষম। পশ্চিমা বিশেষজ্ঞরাও উত্তর কোরিয়ার এই ক্ষেপণাস্ত্র বানানোর সক্ষমতাকে হুমকি মনে করছেন। আলাস্কা, হাওয়াই এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূ-খন্ডের জন্যও বিজদজনক হতে পারে উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা। সেপ্টেম্বরে উত্তর কোরিয়া যে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে তার বিস্ফোরণ ক্ষমতা ছিল ১০ কিলোটন। আর জানুয়ারিতে যে পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্রটির পরীক্ষা চালানো হয়েছিল ওই ক্ষেপণাস্ত্রটির প্রায় দ্বিগুণ শক্তিসম্পন্ন বলে দক্ষিণ কোরিয়ার আবহাওয়া প্রশাসন জানায়। ১৯৪৫ সালে যুক্তরাষ্ট্র জাপানের হিরোশিমায় যে এটম বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল সেটির েিবস্ফারণ ক্ষমতা ছিল ১৫ কিলোটন।
প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক ব্রুশ বিনেট মনে করেন, উত্তর কোরিয়া যেভাবে আগাচ্ছে তাতে করে বিশ্বের জন্য ততটা হুমকি না। কারণ তারা এখনো পূর্বের বিস্ফোরণ শক্তির সমান হতে পারেনি। রেকর্ড ভাঙতে হলে উত্তর কোরিয়াকে আরো শক্তিসম্পন্ন হতে হবে। আরো উন্নতর কাজ করতে হবে যা তারা এখনো করতে সক্ষম হয়নি। উত্তর কোরিয়া এ পর্যন্ত ৮টি মিসাইলের পরীক্ষা চালিয়েছে। এর মধ্যে ২ হাজার মাইল বা তার চেয়ে বেশি যেতে পারেনি তাদের মিসাইল। তাদের ৭টি পরীক্ষাই ব্যর্থ হিসেবে বিবেচিত হয়েছে বলেও মনে করেন বেনেট। ২১ শতকের মধ্যে উত্তর কোরিয়াই একমাত্র দেশ যারা নিয়মিত পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা নিয়মিত চালাচ্ছে। এই কারণে পশ্চিমারা কিম উনের জন্য উদ্বেগ। তাই উত্তর কোরিয়ার উপর সামরিক ও অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা জারি করে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। সূত্র: সিএনএন