পাকিস্তানে হিন্দুধর্ম থেকে ইসলামে দীক্ষিত নারীকে পুলিশি সুরক্ষার আদেশ সিন্ধু হাইকোর্টের
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: জোরপূর্বক ধর্মান্তর নিষিদ্ধ করে পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশ সরকারের নতুন আইনের সমালোচনার প্রেক্ষাপটে দেশটির উচ্চ আদালত হিন্দুধর্ম থেকে ইসলামে ধর্মান্তরিত এক নারীকে পুলিশি সুরক্ষার আদেশ দিয়েছে। দ্য নিউজ
ওই নারী তার নিজের ইচ্ছায় ইসলামে ধর্মান্তরিত আছে বলে আদালতকে জানানোর পর শনিবার এ আদেশ দেন আদালত। আবেদনকারী ওই নারী ইসলাম গ্রহণের পর নিজের নাম রেখেছেন সালমা।
সিন্ধু হাইকোর্ট বেঞ্চকে তিনি জানান, তিনি নিজের ইচ্ছায় ইসলামে ধর্মান্তরিত হওয়ার পর গত ৮ ডিসেম্বর আলী নামে এক যুবককে বিবাহ করেন। বিয়ে ও ধর্মান্তরের জন্য তাকে বাধ্য করা হয়নি বলে তিনি জানান। তিনি জানান, তার ধর্মান্তর ও পরবর্তীতে বিবাহের ঘটনা তার পরিবার মেনে নিতে পারেনি।
সালমা বলেন, ‘আমার পরিবার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকদের বিরুদ্ধে ‘মানগোপি’ থানায় আমাকে অপহরণের মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন।’ এছাড়াও আদালতকে তিনি জানান, তিনি আশঙ্কা করছেন যে, তার পরিবার তাকে ও তার স্বামীকে তুলে নিয়ে হত্যা করতে পারে এবং তাদের পুলিশ প্রটেকশন প্রদান করার জন্য আদালতকে অনুরোধ করেন। তিনি দাবি করেন, পুলিশ ইতোমধ্যে তার দেবরকে তুলে নিয়ে গেছে এবং শ্বশুরবাড়ির পরিবারের অন্যদের গ্রেফতার করার জন্য অভিযান চালাচ্ছে।
প্রাথমিক শুনানির পর হাইকোর্ট অ্যাডভোকেট জেনারেল, প্রসিকিউটর জেনারেল ও অন্যদের প্রতিও নোটিস জারি করে। এছাড়াও, এই দম্পতিকে সুরক্ষার জন্য পুলিশকে আদেশ দেয় এবং আদালতে উপস্থিত তদন্তকারী কর্মকর্তাকে জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন প্রদানেরও নির্দেশ দেয়। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ