সিলেট প্রতিনিধি : দেশে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত জেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে জামানত হারিয়েছেন সিলেটের দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ ৫১ জন। সদস্য প্রার্থীদের মধ্যে ১০ জন কোনো ভোটই পাননি।
জামানত হারানো দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী হলেন- জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জিয়া উদ্দিন আহমদ লালা ও জাতীয় পার্টির নেতা যুক্তরাজ্য প্রবাসী ফখরুল ইসলাম। নির্বাচন কমিশনের বিধি অনুযায়ী, প্রদত্ত ভোটের আট ভাগের এক ভাগ ভোট না পাওয়ায় তাদের জামানত হারাতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিলেট জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আজিজুল ইসলাম। এছাড়াও জামানত হারিয়েছেন সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ১৩ জন এবং সাধারণ সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ৩৬ জন। এদের মধ্যে দশটির কম ভোট পেয়েছেন ৩৭ জন।এর মধ্যে সংরক্ষিত সদস্য পদের প্রার্থী ৪ জন। চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে জিয়া উদ্দিন আহমদ লালা (ঘোড়া) ৫৭ ভোট ও ফখরুল ইসলাম (মোটরসাইকেল) পেয়েছেন ১০ ভোট। চেয়ারম্যান পদে জামানত রক্ষার জন্য তাদের প্রয়োজন ছিল ১৭৭ ভোট।সংরক্ষিত সদস্য পদে ১৩ প্রার্থীর মধ্যে ১ নম্বর ওয়ার্ডে রেহানা ফারুক শিরিন (কম্পিউটার) ১২ ভোট, নুরুন্নেছা হেনা (দোয়াত কলম) ৭ ভোট, পাপিয়া চৌধুরী (টেবিল ঘড়ি) ৮ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন। জামানত রক্ষায় তাদের প্রয়োজন ছিল ২৯ ভোট।
২ নম্বর ওয়ার্ডে খোদেজা রহিম কলি (দোয়াত কলম) ১৩ ভোট, মিসেস হামিদা খান (বই) ১০ ভোট, মোছা. আছমা বেগম (টেবিল ঘড়ি) ৪ ভোট ও মোছা. মনোয়ারা বেগম বীণা (কম্পিউটার) ৮ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন। জামানত রক্ষায় তাদের প্রয়োজন ছিল ৩৮ ভোট।
৩ নম্বর ওয়ার্ডে গীতা রানী দাস (টেবিল ঘড়ি) ১৩ ভোট ও নুরুন্নাহার ইয়াসমিন (ফুটবল) ১৬ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন। জামানত বাঁচাতে তাদের প্রয়োজন ছিল ৩৭ ভোট। ৪ নম্বর ওয়ার্ডে আমিনা বেগম (দোয়াত কলম) ১৯ ভোট, জাহানারা বেগম (মাইক) ১২ ভোট, রোকেয়া আক্তার চৌধুরী (বই) ২২ ভোট ও শিপারা বেগম (টেবিল ঘড়ি) ১২ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন। সম্পাদনা: তারেক