২০১৭ শুরু বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স ধর্মঘট দিয়ে
গাজী মিরান: ১ জানুয়ারি থেকে ধর্মঘটের হুমকি দিয়েছেন বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স মালিকদের একটি সমিতি। অ্যাম্বুলেন্স মালিকদের অভিযোগ অক্টোবরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে বেসরকারি একটি অ্যাম্বুলেন্সের চাপায় ৬ জন নিহত হবার পর থেকেই তাদের হয়রানি করছে বিআরটি এবং ট্রাফিক পুলিশ। আর এই হয়রানি বন্ধ না হলে ১ জানুয়ারি থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট করবে তারা।
কিন্তু রোগিদের জিম্মি করে এই ধরণের কর্মসূচি কতটা যুক্তি সঙ্গত? বিবিসি বাংলার এমন প্রশ্নের জবাবে, ঢাকা মহানগরের অ্যাম্বুলেন্স মালিক সমতির সভাপতি মোমিন আলি বলেন, আমরা ৬টি কারণে এই ধর্মঘটের ডাক দিয়েছি। এর মধ্যে অ্যাম্বুলেন্সের সিট বেশি, অ্যাম্বুলেন্সের কালার, বাম্পার, গ্যাস কালো কেনসহ নানা ভাবে আমাদের হয়রানি করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। আর এই সব কারণেই বাধ্য হয়ে আমরা ধর্মঘটের ডাক দিয়েছি। তিনি আরও বলেন, ম্যাজিস্ট্রেট নানা প্রশ্ন করে আমাদের গাড়ি ডাম্পিংএ পাঠায় এবং ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানাও করেন। তাছাড়া অ্যাম্বুলেন্সের গ্যাসলিন্ডার অর্থাৎ অক্সিজেন বেশি আবার কখনো পর্যাপ্ত নেই বলো আমাদের বিপাকে ফেলেন।
কিন্তু ম্যাজিস্ট্রেট তো দায়িত্ব নিয়ে কাজ করছে তাদের এমন কর্মে কেন আপনাদের হয়রানি মনে হচ্ছে? জবাবে তিনি বলেন, অ্যাম্বুলেন্স একটা রোগি বহণ করা গাড়ি। সেই গাড়িটি যেভাবে চলাচল কারার কথা আমরা ঠিক সেইভাবেই চলছি। কিন্তু তারপরেও এই লাশ বা রোগি বহনকরা গাড়িটিকে তারা এমন পর্যায় নিয়ে গেছে যে, তারা একটা সাধারণ গাড়ির হিসেবে এটাকে দেখছেন। যেখানে আমরা অতিষ্ট।
একটা অ্যাম্বুলেন্সের বিশেষ কিছু সুবিধা থাকে সেটা আসলে বেসরকারি আম্বুলেন্সে আছে কি? বিবিসি বাংলার এমন প্রশ্নের জবাবে, বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্সে যে সুবিধাটুকু থাকার কথা সেটা পর্যাপ্তই আছে। অক্সিজেন থেকে শুরু করে আমাদের এই সব গাড়িতে সব থাকে এবং আছে। তাছাড়া একটি সরকারি গাড়ির চেয়ে আমরাই বেশী সুবিধা বা সেবা দিয়ে থাকি।
তাহলে আপনাদের কেন এই ধরণের হয়রানি করা হচ্ছে? জবাবে তিনি বলেন, এটার কারণ, ঢাকা মেডিকেলে কিছুদিন আগে ৬জন মানুষ মারা গিয়েছিল । তখন থেকেই আমাদের ওপরে এই ধরণের আচরণ।
এখন আপনারা যদি ধর্মঘটে যান তাহলেতো সাধারণ রোগিরা বিপাকে পড়বেন সেটাকি আপনারা মাথায় রেখেছেন? জাবাবে তিনি বলেন, হ্যা সেটাতো আমারাও বুঝতে পারছি। তাই এখানে শুধুই আমরা দুঃখই প্রকাশ করতে পারবো তাছাড়া আমাদের আর কিছু করার নাই। কারণ, একটা গাড়ি ১ হাজার টাকা দিয়ে নিয়ে থাকি। তার পরে যখন গাড়িটা বের হয় তখন যদি আমাদের বিভিন্ন ভাবে হেনস্তা করে তাহলে দেখা যায় যে, আমাদের সময় লস হয়। পাশাপাশি রোগিদেরও বকা শুনতে হয়। তাই আমরা রোগিদের হয়রানির মধ্যে ফেলতে চাই না এবং আমরাও পড়তে চাই না বলেই আমাদের এই সিদ্ধান্ত। সূত্র: বিবিসি বাংলা