প্রধানমন্ত্রীর বিমানে ত্রুটি গ্রেফতার সাত আসামির ফের ৮ দিনের রিমান্ড
মামুন খান: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী বিমানে ত্রুটির ঘটনায় করা মামলায় গ্রেফতার বাংলাদেশ বিমানের সাত কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ফের ৮ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।
শুক্রবার ঢাকা মহানগর হাকিম ওয়ায়েজ কুরুনী খান চৌধুরী রিমান্ডের এ আদেশ দেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট ইন্সপেক্টর মাহবুবুল আলম আসামিদের পুনরায় দশ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ষড়যন্ত্র করে বিমানে ইচ্ছাকৃতভাবে যান্ত্রিক ত্রুটি করে। এতে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে ছিল বলে প্রতীয়মান হয়। গ্রেফতার করা আসামিদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদেও আসামিরা বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে এবং একে অপরের উপর দায়িত্ব চাপানোর চেষ্টা করছে। মামলার রহস্য উদঘাটন, ষড়যন্ত্রের সাথে আরও কারা কারা জড়িত তাদের চিহ্নিত, গ্রেফতার আসামিদের প্রদত্ত তথ্য সমূহ যাচাই ও মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আসামিদের পুনরায় দশ দিনের পুলিশ রিমান্ড মঞ্জুর করা হোক।
রাষ্ট্রপক্ষে আব্দুল্লাহ আবু এবং তাপস কুমার পাল বলেন, মামলাটা যেন তেন মামলা নয়। প্রধানমন্ত্রীকে হত্যা চেষ্টার মামলা। আসামিরা সেদিন বিমানের দায়িত্বে নিয়োজিত ছিল। তাদের দশ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হোক।
অপরদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের শুনানি করেন।
আসামি দেবেশের পক্ষে দাবি করা হয় যে, তিনি প্রধানমন্ত্রীর সফর সঙ্গীই ছিলেন। ওই ঘটনায় তিনি সম্পৃক্ত থাকলে তিনি সফর সঙ্গী হতেন না। অপর আসামিদের পক্ষেও রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করা হয়। আসামিপক্ষের আইনজীবীরা বলেন, এঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত হোক। যারা প্রকৃত দোষী তারা যেন বের হয়ে আসে আমরা সেটাই চাই। কিন্তু নিরাপরাধীরা যেন ফেঁসে না যায়।
উভয়পক্ষে শুনানি শেষে বিচারক প্রত্যেকের জামিন নামঞ্জুর করেন। প্রত্যেকের আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। সম্পাদনা: এনামুল হক