নতুন বছরে ছাত্রদলের লক্ষ্য গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার রাজপথের আন্দোলন বাস্তবায়ন নিয়ে সংশয়!
কিরণ সেখ: নতুন বছর ২০১৭ সালকে সামনে রেখে নতুন করে কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। রাজপথের সক্রিয় আন্দোলনের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করাই সংগঠনটির মূল লক্ষ্য। এর জন্য পরিকল্পনাও করা হয়েছে এবং সে আলোকে কাজও এগিয়ে চলছে। তবে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে যে সব প্রতিবন্ধকতা রয়েছে, তা থেকে বেরিয়ে আসতে পারছেনা সংগঠনটি।
সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের ভাষ্য, একাধিক নেতাকমী গুম, পুলিশি হামলা, মামলা এবং রাজপথে সমাবেশ করতে না দেওয়ার বারবার পরিকল্পনা গ্রহণ করেও তা ব্যর্থ হয়েছে। তবে এর বাইয়ে সংগঠনটির অভ্যন্তরে আগে নেতৃত্ব নিয়ে কোন্দল ছিল বলে দলের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়। আর তাই সব মিলিয়ে এবারও নতুন বছরের আন্দোলন বাস্তবে রুপ দেওয়া নিয়ে দেখা দিয়েছে সংশয়!
ছাত্রদলের কয়েকজন শীর্ষ স্থানীয় নেতারা জানিয়েছেন, ছাত্রদলকে চাঙ্গা করতে কমিটি পুনর্গঠন কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। সেই সঙ্গে, এই কমিটি পুনর্গঠন শেষে কিভাবে রাজপথে আন্দোলন পরিচালিত হবে তারও একটি কৌশল তৈরি করা হয়েছে।
তারা জানান, ২০১৪ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ছাত্রদলের ১৭ জন নেতাকর্মীকে গুম করা হয়েছে, আহত হয়ে চিকিৎসাধীন শতাধিক এবং পুলিশের হামলা ও মামলায় আত্মগোপনে রয়েছে হাজারও নেতাকর্মী। এরকম প্রেক্ষাপটে, কিভাবে আন্দোলন রাজপথে গতি পাবে তা নিয়ে ছাত্রদলের শীর্ষ নেতারা বুঝে উঠতে পারছে না।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্রদলের সভাপতি রাজিব আহসান বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করে দেশের শিক্ষাঙ্গনগুলোকে সন্ত্রাস মুক্ত করাই ছাত্রদলের মূল লক্ষ্য। আর এ লক্ষ্যে পৌঁছাতে ইতিমধ্যে সারাদেশে জেলা, উপজেলাসহ ছাত্রদলের কমিটি পুনর্গঠন করা হচ্ছে, প্রয়োজনে কমিটিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আনা হবে। ছাত্রদলের সহ-সভাপতি নাজমুল হাসান বলেন, ছাত্রদলকে আরও শক্তিশালী করে গড়ে তুলতে পুরনো কমিটি ভেঙে নতুন করে গঠন করা হবে। একই বিষয়ে ছাত্রদলের দফতর সম্পাদক আবদুস সাত্তার পাটোয়ারী বলেন, সংগঠনিক দুর্বলতা কাটিয়ে উঠার চেষ্টা করছি। কিন্তু সভা-সমাবেশ ও কর্মসূচিতে ক্ষমতাসীন দল ও প্রশাসনের বাধার ফলে এগুলো আমরা কাটিয়ে উঠতে পারছি না। সম্পাদনা: এনামুল হক