থার্টিফাষ্ট নাইটে উশৃঙ্খলতা ঠেকাতে নগর জুড়ে ১০ হাজার পুলিশের নিরাপত্তা
আজাদ হোসেন সুমন ও সুজন কৈরী: ইংরেজি নববর্ষে উশৃঙ্খলতা ঠেকাতে রাজধানী জুড়ে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহন করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ। বিশেষ করে স্পর্শকাতর গুলশানের কূটনৈতিক এলাকা ঘিরে নেয়া হচ্ছে নজিরবিহীন নিরাপত্তা।
এদিকে ঢাকায় অবস্থানরত বিদেশী কূটনীতিক ও তাদের পরিবারের সদস্যদের বাসার ভেতরে থার্টিফার্ষ্ট নাইট উদযাপনের পরামর্শ দিয়েছে স্ব স্ব দেশের দুতাবাসগুলো। গত সপ্তাহে পূর্ব আশকোনায় এক নারী ও কিশোর জঙ্গি নিহত হওয়ার প্রেক্ষাপটে জঙ্গি হামলার আশঙ্কা করছিলেন গোয়েন্দারা। মঙ্গলবার রাজধানীর দারুস সালাম এলাকা থেকে বিস্ফোরকসহ ৫ জঙ্গি ধরার পড়ার পর নড়েচড়ে বসে র্যাব ও কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স ইউনিট। জিজ্ঞাসাবাদে জঙ্গিরা জানায়, তারা বড়দিন ও থার্টিফার্ষ্ট নাইটে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছিল।
এদিকে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে থার্টি ফার্স্ট রাত ৮টার মধ্যে নগরবাসীকে ঘরে ফেরার আহ্বান জানিয়েছে পুলিশ। ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নগরজুড়ে নজরদারি করবে। নিরাপত্তা ব্যবস্থায় জড়িত হবে ১০ হাজার সদস্য।
এদিকে সন্ধ্যা ৬টার পর গুলশান এলাকায় প্রবেশের জন্য কাকলি ও আমতলী ছাড়া কোনো পয়েন্ট খোলা না থাকার কথা জানিয়েছে পুলিশ। এদিন সন্ধ্যায় গুলশানে ঢোকার ক্ষেত্রে কড়াকড়ি আরোপ করা হবে। গাড়িতে স্টিকার ব্যবহার করতে হবে। রাত ৮টার পর হাতিরঝিল এলাকায় যান চলাচল বন্ধ থাকবে। সন্ধ্যা থেকেই রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট গুলোতে চেকপোস্ট কার্যকর হয়ে উঠবে। সন্ধ্যার পর টিএসসি ও গুলশান-বনানী-বারিধারাসহ কুটনৈতিক এলাকার রেস্টুরেন্ট ও বারসহ সব ধরনের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। তবে কেউ যদি কোনো অনুষ্ঠানের আয়োজন ইনডোরে (আবাসিক বাসা, ক্লাব, অফিসের ভেতরে) আয়োজন করতে চান তবে তাদের পুলিশের অনুমতি নিতে হবে।
থার্টিফাষ্টে সন্ধ্যার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় সন্ধ্যার পর শিক্ষার্থী ও শিক্ষক ছাড়া কাউকে ঢুকতে দেয়া হবে না। যানবাহন ব্যবহারকারী শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পরিচয়পত্র দেখাতে হবে। শাহবাগ ও নীলক্ষেত পয়েন্ট দিয়ে ডাইভারশনের ব্যবস্থা করেছে ট্রাফিক বিভাগ। সেই সঙ্গে ওই দিন রাতে নির্দিষ্ট কিছু এলাকায় প্রবেশের জন্য স্টিকার ব্যবহার ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ঢুকতে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের পরিচয়পত্র সঙ্গে রাখার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। পথচারীদের জাতীয় পরিচয়পত্র সঙ্গে রাখতে হবে। সন্দেহভাজনদের তল্লাশি করা হবে।
তবুও চলতি ইংরেজি বছরের শেষ দিন অর্থাৎ সূত্রজানায় থার্টিফার্স্ট নাইটে কেউ উদযাপনের নামে বেলেল্লাপনা করার চেষ্টা করলেই তাকে আইনের মুখোমুখি করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ওইদিন রাতে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট, গোয়েন্দা পুলিশ, পিবিআইসহ বিভিন্ন গোয়েন্দাসংস্থার সদস্যরা সাদা পোশাকে টিএসসি, ধানমন্ডি, যাত্রবাড়ি মহাখালী, তেজাগাঁও, মগবাজার, ইস্কাটন, বাংলামটর, সাইন্সল্যাব, মিরপুর ১ ও ১০ নম্বর উত্তরার গুরত্বপূর্ণ বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নেবে। সম্পাদনা: এনামুল হক