ওবামাকে গুনছে না ইসরায়েল ও রাশিয়া
কামরুল আহসান: ৩৫ জন কূটনীতিক বহিষ্কার করার ব্যাপারে সবাই আশা করেছিল, এ ব্যাপারে খুব দ্রুতই কোনো পাল্টা প্রতিক্রিয়া দেখাবে রাশিয়া।
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ ঘোষণাও দিয়েছিলেন রাশিয়ার ৩৫ জন কূটনীতিককে আমেরিকা থেকে বিতাড়িত করার বিরুদ্ধে রাশিয়া ও আমেরিকার
৩৫ কূটনীতিককে রাশিয়া থেকে তাড়াবেন। কিন্তু, না, এতো দ্রুতই কোনো প্রতিহিংসা পরায়ণ প্রতিক্রিয়া দেখাতে চাইলেন না রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন। তিনি পরবর্তী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জন্য অপেক্ষা করবেন বলে জানিয়েছেন। ওবামাকে তিনি গোনায় ধরছেন না। ওবামার দিন ফুরিয়েছে, ২০ জানুয়ারিতেই ক্ষমতায় আসছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
এর আগে ইসরায়েলও ওবামা সরকারের প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করেছে। মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে ওবামা প্রশাসন ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের মধ্যে বিবাদ দূর করতে চেয়েছিলেন। ফলস্বরূপ ফিলিস্তিন অধিকৃত এলাকায় বসতি স্থাপন বন্ধ করতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি একটি রূপরেখা প্রকাশ করেছিলেন। কেরি বলেছিলেন, দুই রাষ্ট্র ভিত্তিক সমাধানই ইহুদি কিংবা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে ইসরায়েলের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে। এ ব্যাপারে আমেরিকা জাতিসংঘের স্বীকৃতি আদায় করে। ইসরায়েল এ বিষয়ে কঠোর প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে। ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট নেতানিয়াহু সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, বর্তমান লুপ্তপ্রায় ওবামা-প্রশাসনের প্রতি তাদের আর কোনো আস্থা নেই। তারা পরবর্তী প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের জন্যই অপেক্ষা করছেন। ডোনাল্ড ট্রাম্প জাতিসংঘকে বিনোদন ক্লাব আখ্যা দিয়ে জানিয়েছিলেন, আমি আগামী মাসে শপথ নেয়া পর্যন্ত শক্ত হয়ে থাকুন।’
আমেরিকা থেকে রাশিয়ার ৩৫ জন কূটনীতিক বহিষ্কারের ব্যাপারেও ট্রাম্প জানিয়েছেন, ‘এখন আমাদের দেশকে আরও বড় ও মহৎ করে গড়ে তোলার সময়। বিভক্ততা তৈরির সময় না। আগামী সপ্তাহেই এই চলমান সংকট নিয়ে আমি আন্তর্জাতিক নেতাদের সঙ্গে বসবো।’ বিবিসি, সিএনএন। সম্পাদনা: পরাগ মাঝি