বাগেরহাটে বিষমুক্ত খিরাই
বাগেরহাট প্রতিনিধি: বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার অর্গানিক বেতাগায় ৪৫ একর জমিতে বিষমুক্ত খিরাই এর বাম্পার ফলন হয়েছে। এতে শতাধিক কৃষকের ভাগ্য বদলে গেছে। বিষমুক্ত পরিবেশে সবজি উৎপাদনে কৃষি বিভাগ কৃষকদের নানা প্রকার পরামর্শ ও সেক্স ফেরমান ফাঁদসহ বিভিন্ন উপকরণ বিতরণ করায় এ ফলন হয়েছে বলে কৃষি বিভাগ দাবি করেছেন। এ ধারা অব্যাহত রাখার জন্য এলাকার কৃষক কৃষাণী ও সচেতন জনগণকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে কৃষি বিভাগ।
জানা গেছে, বাগেরহাটের অর্গানিক বেতাগায় শতাধিক কৃষক এবার ৪৫ একর জমিতে বিষমুক্ত খিরাই এর চাষ করেছেন। শুরুতেই উপজেলা কৃষি অফিস স্থানীয় কৃষকদের বিষমুক্ত পরিবেশে সবজি উৎপাদনে উৎসাহ যোগানোর জন্য প্রশিক্ষণসহ নানা উপকরণ বিতরণ করেই আসছে। যারই অংশ হিসাবে অর্গানিক বেতাগার বিষমুক্ত খিরাই এর চাহিদা সর্বত্র বিরাজমান। খিরাই চাষি শেখর কুমার দাশ ও তার স্ত্রী অঞ্জিতা রানী দাশ বলেন, তারা ৩ বিঘা জমিতে খিরাই এর চাষ করেছেন। শুরুতে বিভিন্ন জটিলতা দেখা দিলেও বর্তমানে বাম্পার ফলন হয়েছে। চলতি বছর ২৭-২৮ মণ খিরাই কেটে বাজারে বিক্রয় করছেন। প্রতি মণ খিরাই ১৩-১৪শ টাকা বিক্রয় করলেও বর্তমানে ৭-৮শ টাকা মণ বিক্রয় হচ্ছে। এ বছর যে বাম্পার ফলন হয়েছে, তাতে ৮-১০ লাখ টাকার খিরাই বিক্রয় করতে পারবেন বলে তিনি আশাবাদী। তিনি আরও বলেছেন, অর্গানিক পদ্ধতিতে বিষমুক্ত পরিবেশে খিরাই উৎপাদন করা হয়েছে শুনে ক্রেতারা আগ্রহ সহকারে তা ক্রয় করছেন। পার্শ¦বর্তী চাষি ওহিদ শেখ তার ১ বিঘা জমিতে খিরাই চাষ করেছেন, তিনিও বাম্পার ফলন পেয়েছেন। এছাড়া জাকির হোসেন ৩ বিঘা, তপন কুমার দাশ ৩ বিঘা, সুধাশু দাশ ২ বিঘা, রাজিব দাশ দেড়বিঘা, তরিকুল ইসলাম ১ বিঘা, ফটিক দাশ ১ বিঘা, মনোতোষ ও সুজিত দাশ তিন বিঘা জমিতে খিরাই চাষ করেছেন। অপর দিকে বেতাগার জয়পুর গ্রামের ১৫ একর জমিতে একই পরিবেশে খিরাই চাষ করেছেন অর্ধশতাধিক খিরাই চাষি। ফলন যেমন বেশি- মূল্যও তেমন ভাল পাওয়ায় তারা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। এব্যাপারে অর্গানিক বেতাগার প্রধান উদ্যোক্তা ও ইউপি চেয়ারম্যান স্বপন দাশ এর সাথে আলাপ করা হলে তিনি বলেন, বিষমুক্ত সবজি ও নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন করাই হচ্ছে আমাদের মূল লক্ষ্য। সে কারণে আমরা বিশেষ করে অর্গানিক বেতাগায় সকল সবজি রাসায়নিক সার মুক্ত পরিবেশে শুধুমাত্র জৈবসার দিয়েই বিষমুক্ত পরিবেশে সবজি উৎপাদন করছি। এধারা অব্যাহত রাখার জন্য তিনি সবজি উৎপাদনকারী চাষিদের প্রতি বিশেষ আহ্বান জানান। সম্পাদনা: এনামুল হক