রাজধানীর পূর্বাচলে বাণিজ্য মেলার স্থায়ী কমপ্লেক্স
ডেস্ক রিপোর্ট: এবারো শেরেবাংলা নগরে বসছে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার ২২তম আসর। তবে বাণিজ্য সচিব জানান, আগামী বছর রাজধানীর পূর্বাচলে মেলার স্থায়ী কমপ্লেক্স নির্মাণের কাজ শুরু হচ্ছে। ইতোমধ্যে চীনের সঙ্গে এ বিষয়ে চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মতে, স্থায়ী ভেন্যু হলে প্রতিবছর মেলার স্টল ও অবকাঠামো নির্মাণ বাবদ আর বিপুল অর্থের অপচয় হবেনা। তবে যোগাযোগের সুব্যবস্থা করা না হলে, পূর্বাচলে মেলা জমবে না বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে মেলার আর মাত্র একদিন বাকী থাকলেও এখনো সব স্টল বরাদ্দ ও সৌন্দর্য বাড়ানোর কাজ শেষ হয়নি। বাণিজ্যের প্রসারে রপ্তানি মেলার নাম পরিবর্তন করে ১৯৯৫ সালে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে যাত্রা শুরু মাসব্যাপী ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার। ২১ বছর ধরে শেরেবাংলা নগরে সচিবালয়ের জন্য সংরক্ষিত জায়গায় হচ্ছে দেশের সর্ববৃহৎ এ বাণিজ্য মেলা। কিন্তু ভেন্যুটি স্থায়ী না হওয়ায় প্রতিবছরই মেলার অবকাঠামো নির্মাণ ব্যয় হচ্ছে কোটি কোটি টাকা। অন্যদিকে সময় মতো স্টলের কাজ শেষ না হলে অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ অবস্থায় চীনের অর্থায়নে ৮শ কোটি টাকা ব্যয়ে পূর্বাচলে স্থায়ী কমপ্লেক্স নির্মাণের কাজ শুরু হচ্ছে।
বাণিজ্য সচিব বলেন, এই ভেন্যুতে যে কোন মেলা আয়োজন করা যাবে। অক্টোবর থেকে পুরো কাজ শুরু হবে। তিন বছরের মাথায় অত্যাধুনিক স্থায়ী জায়গা তৈরি হবে। সেখানে ৯০০ স্টল আয়োজন করা হবে।
এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে অংশগ্রহণকারীরা দ্রুত স্থায়ী ভেন্যু নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন। তবে যোগাযোগের সুব্যবস্থা না থাকলে পূর্বাচলে মেলায় জনসমাগম হবে না বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। তারা বলেন, এই মুহূর্তে পূর্বাচলে যেয়ে কেউ বাণিজ্য মেলায় অংশগ্রহণ করবে কিনা তা দেখার বিষয়।
শুধু মেলার মূল অবকাঠামো ও আনুষঙ্গিক সুযোগ সুবিধা তৈরিতে এ বছর ইপিবির ব্যয় হয়েছে ১৮ কোটি টাকা। আর একেকটি স্টল ও প্যাভিলিয়ন নির্মাণে অংশগ্রহণকারীদের ব্যয় হচ্ছে কয়েক লাখ থেকে এক কোটি টাকা পর্যন্ত। সূত্র: সময় টিভি