রপ্তানি বাড়াতে বিশ্বব্যাংক গ্রুপের পরামর্শ
সাজ্জাদুল হক: রপ্তানি বাড়াতে তৈরি পোশাকের মতো একাধিক খাতে বন্ডেড ওয়্যারহাউজ সুবিধা দেয়া, শুল্ক ব্যবস্থাপনা সহজ করা ও বিদেশি বিনিয়োগের পরিবেশ নিশ্চিতের পরামর্শ দিয়েছে বিশ্বব্যাংক গ্রুপ। দেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে এক প্রতিবেদনে এসব পরামর্শ দেয়া হয়।
এতে বলা হয়, সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা অনুযায়ী রপ্তানি আয় আনতে ভূমিকা রাখবে এসব পরামর্শ। যা এরই মধ্যে লিখিত আকারে তিন মন্ত্রণালয়েও পাঠানো হয়েছে। ঝুঁড়িতে পণ্য প্রায় সাড়ে সাতশ। অথচ একটির মাধ্যমেই আয় পাঁচ ভাগের চারভাগ। এমন অসম বাস্তবতায় বাংলাদেশের রফতানি খাত। যদিও গেলো দশ বছর ধরে প্রবৃদ্ধি দুই অঙ্কের ঘরে। বিশ্ববাজারের চাহিদা, মান আর দামের কারণে এই খাতে সাফল্য যেমন এসেছে, তেমনি তৈরি হয়েছে বড় সম্ভাবনাও। যাকে সপ্তম পাঁচসালা পরিকল্পনায় এগুনোর চিন্তা রয়েছে আরও বহুদূর। তা হলো, ২০২০ সালে আয় করতে হবে ৫৮ বিলিয়ন ডলার। আর এই অর্জন কিভাবে সম্ভব সম্প্রতি তারই একটি সমীক্ষা পরিচালনা করেছে বিশ্বব্যাংক প্রুপ। বেসরকারি খাতকে সঙ্গে নিয়ে করা এই সমীক্ষা মূলত এগিয়ে নেবে ডায়াগনস্টিক ট্রেড অ্যান্ড ইন্টিগ্রেটেড স্টাডি- ডিটিআইএসের বাস্তবায়নকে। দলের সমন্বয়কের মতে, রফতানিকে বিস্তৃত করতে এই উদ্যোগ বড় ভূমিকা রাখতে পারে।
চলতি বছরের ১৩ থেকে ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত চালানো বিশেষ ওই সমীক্ষার নাম দেয়া হয় বাংলাদেশ রিজিওনাল ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রাম। সংক্ষেপে বি আরটিআইপি। এতে বেশকিছু সুপারিশ করা হয়েছে বাস্তবায়নের জন্য। যেমন, আমদানির জন্য শুল্ক ব্যবস্থাপনাকে সহজ করা, তৈরি পোশাকের মতো আরো কয়েকটি খাতে বন্ডেড ওয়্যারহাউজ চালু করা, বিদেশি বিনিয়োগের জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করা, পণ্যের মান যাচাইয়ে বিএসটিআইয়ের আধুনিকায়ন ইত্যাদি।
সমীক্ষার সুপারিশ বাস্তবায়নে এরই মধ্যে তা লিখিত আকারে পাঠানো হয়েছে অর্থ, বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ে। সূত্র : চ্যানেল টোয়েন্টিফোর