নিজ দায়িত্ব জানেন না জেলা পরিষদে জয়ী অনেক সদস্য!
আরিফুর রহমান: শেষ হয়েছে বাংলাদেশের ইতিহাসের প্রথম জেলা পরিষদ নির্বাচন। জয়ী হওয়ার পর নানা উন্নয়নের ছক তৈরিতে ব্যস্ত সদ্য নির্বাচিত চেয়ারম্যানরা। তাদের সহযোগীতায় একযোগ কাজ করছেন, সদস্যরাও।
প্রতিশ্রুতির পাশাপাশি নানা প্রত্যাশার কথাও বলছেন তারা। তবে, নবনির্বাচিত অনেক সদস্যই জানেন না, তাদের কাজটা কী। দায়িত্বের পরিধি নিয়েও আছেন নানা দ্বিধায়। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, জেলা পরিষদের সদস্যদের কাজ এখনই সুস্পষ্ট করা না হলে, বাধাগ্রস্ত হতে পারে, উন্নয়ন কর্মকান্ড।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের ভোটে গঠিত হবে জেলা পরিষদ। এমন বিধান রেখে, সংশোধন করা হয় জেলা পরিষদ আইন। বলা হয়, পরিষদে একজন চেয়ারম্যান, ১৫ জন সদস্য এবং পাঁচজন সংরক্ষিত সদস্য থাকবেন। এরপর ২৮ ডিসেম্বর, তিন পার্বত্য জেলা বাদে বাকি ৬১ জেলায়, দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো জেলা পরিষদ নির্বাচন হয়। ২৪ জেলায় নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীরা। ১৪ টিতে স্বতন্ত্র এবং বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন ২১ জেলার চেয়ারম্যান। একই সঙ্গে ভোট হয় সাধারণ ও সংরক্ষিত সদস্য পদেও।
চেয়ারম্যানদের মতই নির্বাচিত সদস্যরাও জয়ের পর দিচ্ছেন উন্নয়নের নানা প্রতিশ্রুতি। বলছেন, পদের মর্যাদা রক্ষায় সচেষ্ট থাকবেন তারা। তবে সদ্য নির্বাচিত সদস্যদের অনেকেই তাদের কাজ সম্পর্কে পরিস্কার নন। তাই পদের দায়িত্ব সম্পর্কে তাদের সুস্পষ্ট ধারণা দিতে সরকারের প্রতি আহবান জানিয়েছেন অনেকেই।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, জেলা পরিষদের নির্বাচিত সদস্যদের কাজ সুষ্পষ্ট না করা হলে, বাধাগ্রস্ত হতে পারে উন্নয়ন। জেলা পরিষদ আইন অনুযায়ী, স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে তদারকিসহ ১২টি বাধ্যতামূলক এবং আরও অনেকগুলো রয়েছে ঐচ্ছিক কাজ। সূত্র: চ্যানেল টোয়েন্টিফোর