তৌহিদুর রহমান নিটল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া : ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ব্রাহ্মণবাড়িয়া অংশ যেন এক মরণ ফাঁদ প্রতিনিয়ত যেন লাশের মিছিল বইছে এই মহাসড়কে। এই মহাসড়কে ব্রাহ্মণবাড়িয়া অংশ শুরু হয়েছে আশুগঞ্জ থেকে চান্দুরা সাতবর্গ ব্রীজ পর্যন্ত আর আঞ্চলিক সড়কের অংশ হচ্ছে সরাইল বিশ্বমোড় থেকে কসবা পর্যন্ত। আর মহাসড়কে সারাদিন চলে বাস, ট্রাক, মাইক্রোবাস,অটোরিক্সা, ট্রাকটর, পাওয়ারট্রলি, ব্যাটারিচালিত অটোরিক্সা, নসিমন এই ধরনর যানবাহন। তার মধ্য অটোরিক্সা, ট্রাকটর, পাওয়ারট্রলি, ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সা, নসিমন এই জাতীয় যানগুলো মহাসড়কে ও আঞ্চলিক সড়কে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকলে নিজের খুশিমত চলছে গাড়িগুলি। আর একারণে এসব অবৈধ গাড়িগুলো চলার কারণে প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট-বড় সড়ক দুর্ঘটনা। এই সড়কে বাস ট্রান্সপোর্টগুলো বেশ দাপঠের সাথে চলছে। তার মধ্যে শ্যামলী, গ্রীনলাইন, বলবো, হানিফ, মামুন বিশেষ উল্লেখযোগ্য। সড়কে যদি ও সরকারি নিয়ম অনুযায়ী মহাসড়ক সর্Ÿোচ্চ গতি ঘণ্টায় ৮০ মাইল নির্ধারণ করা থাকলেও সরকারী নিয়মনীতি তুয়াক্কা না করে তার চেয়ে দেড় গুণ বেশী গতি নিয়ে গাড়িগুলো চালাচ্ছে, আর তা দেখার জন্য দায়িত্ব পালন করার জন্য যারা সড়কের পাশে ইউনিফরম পরিহিত অবস্থায় দাঁড়িয়ে থাকেন। তারা যেন দায়িত্ব পালনে অনেকটা অপারগ। বিগত বছরে ঢাকা-সিলেট ও কুমিল্লা -সিলেট সড়কে ছোট- বড় বেশ কয়েকটির দুর্ঘটনার মধ্যে দেখা যায়। ২৭-৫-১৬ ইং তারিখে মটর সাইকেল যোগে আশুগঞ্জ থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আসার জন্য মটর সাইকেলে তিন আরোহী বেড়তলা নামক স্থানে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলে তিনজনের মৃত্যু হয়। ০১-০৮-১৬ ইং তারিখে বাস-ট্রাক সংর্ঘষে দুইজনের মৃত্যু হয়। ১৬-০৯-১৬ ইং তারিখে ঈদুল আজহার পরের দিন মৌলভীবাজার কমলগঞ্জ থেকে বরযাত্রী নিয়ে আসা একই পরিবারের ৮ জন যাত্রী ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিজয়নগরের শশীনামক স্থানে বাসের চাপায় ঘটনাস্থলে তাদের নিহত হন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া খাঁটিহাতা হাইওয়ে পুলিশ সূত্রে জানা যায় যে, বিগত বছরে মহাসড়ক দুর্ঘটনায় ৪৪টি মামলা হয়েছে, নিহত হয়েছে প্রায় ১৩০ জনের মত, আহত হয়েছেন ৯০ জনের বেশি আর গ্রেফতার হয়েছে ৯৩ জনের মত।সম্পাদনা : তারেক