৬৩ বছরের ইতিহাসে এবারই প্রথম নেতৃত্বে নারী জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি শফিক সাধারণ সম্পাদক ফরিদা
আজাদ হোসেন সুমন: দিনভর উৎসবমুখর পরিবেশে গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাব নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মুহাম্মদ শফিকুর রহমান সভাপতি ও ফরিদা ইয়াসমিন সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচনে সফিক-ফরিদা প্যানেল নিরঙ্কুশ জয়লাভ করেছে। জাতীয় প্রেসক্লাবের ৬৩ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম কোনো নারী সাধারণ সম্পাদকের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে নির্বাচিত হলো। সাধারণ ভোটাররা বলেছেন, নারী সম্পাদক নির্বাচিত হওয়াটাই একটা ইতিহাস। তিনি এখন চির অবহেলিত নারী সদস্যদের সুযোগ-সুবিধার দিকে নজর দিতে পারবেন।
জানা গেছে, প্রেসক্লাবের ১৭টি পদের মধ্যে সফিক-ফরিদা প্যানেল সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ ১৪টি পদে জয়লাভ করে। এদিকে, এমএ আজিজ ও কাদের গণি পরিষদ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকসহ দুটি পদে জয়লাভ করে। এই দুই প্যানেলের বাইরে স্বতন্ত্র সদস্য পদে একজন নির্বাচিত হয়েছেন। সর্বমোট ১ হাজার ২১৮ ভোটের মধ্যে ১ হাজার ৮৯ জন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। শনিবার সকাল ৯টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে বিকাল ৫টা পর্যন্ত চলে। প্রেসক্লাবের বর্তমান সভাপতি শফিকুর রহমান ৬৭২ ভোট পেয়ে পুনরায় সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এম এ আজিজ পেয়েছেন ২৮৯ ভোট। সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে সাইফুল আলম ৮০৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নুরুল আমিন রোকন পেয়েছেন ১৯৩ ভোট। সহ-সভাপতি পদে আজিজুল ইসলাম ভুঁইয়া ৫৭০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সদরুল হাসান পেয়েছেন ২৩৯ ভোট। সাধারণ সম্পাদক পদে ফরিদা ইয়াসমিন ৪৩৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কাদের গনি চৌধুরী পেয়েছেন ৩৫০ ভোট। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দুটি পদে শাহেদ চৌধুরী (৬২৭ ভোট) ও ইলিয়াস খান (৪৫২ ভোট) নির্বাচিত হয়েছেন। কোষাধ্যক্ষ পদে বর্তমান কোষাধ্যক্ষ কার্তিক চ্যাটার্জী ৪৭৮ ভোট পেয়ে পুনঃনির্বাচিত হয়েছেন। সদস্য পদে ১০ বিজয়ী হলেন: শ্যামল দত্ত (৫৭৪ ভোট), কুদ্দুস আফরাদ (৫৩৫ ভোট), মাঈনুল আলম (৫১১ ভোট), রেজোয়ানুল হক রাজা (৪৮৮ ভোট), মোল্লা জালাল (৪৫৯ ভোট), শামসুদ্দিন আহমেদ চারু (৪৫২ ভোট), হাসান হাফিজ (৪২৩), শাহনাজ বেগম (৩৯৯), কল্যাণ সাহা (৩৭৮) ও হাসান আরেফিন (৩০৪)। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেন তথ্য প্রযুক্তিবিদ মোস্তফা জব্বার। বদলে যাওয়ার ধারাবাহিকতায় গতকালের নির্বাচন ছিল সবার কাছে আগ্রহ ও উদ্দীপনার বিষয়। দেশের সুশীল সমাজের বাসিন্দা ও বিভিন্ন দলীয় রাজনীতিকরাও দিনভর নির্বাচনের খোঁজ-খবর রেখেছেন। বিশেষ করে সাংবাদিক সমাজের আলোচনার কেন্দ্র ছিল এ নির্বাচন। সবার প্রত্যাশা একটাই নির্বাচিত কমিটি সংবাদপত্র ও সাংবাদিকতার মান উন্নয়নে কার্যকর ভূমিকা রাখবে এবং সদস্যদের কল্যাণে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবেন। পাশাপাশি ৩১তলা বিশিষ্ট বঙ্গবন্ধু মিডিয়া ভবণ নির্মাণ প্রক্রিয়াকে একধাপ এগিয়ে নেবেন। সম্পাদনা: একে আজাদ