নতুন বছর আসতে ১ সেকেন্ড দেরি হলো এবার
কামরুল আহসান: এবার নতুন বছর একটু দেরিতে পালন করতে হবে। বেশি না, মাত্র এক সেকেন্ড। তা হয়তো আপনি গণনাতেই ধরবেন না। কিন্তু, সময় পরিমাপক আণবিক ঘড়ির সেটা না ধরলে চলে না। তা না হলে পৃথিবীর ঘূর্ণাবর্তের সঙ্গে আণবিক ঘড়ির সময় মিলবে না। সূর্যের চারপাশে পৃথিবীর ঘূর্ণন আণবিক ঘড়ির তুলনায় মাত্র ১ সেকেন্ড দেরিতে চলে। ২০১৭ সালের সময় গণনায় তাই ১ সেকেন্ড যোগ করতে হবে ‘লিপ সেকেন্ড’ হিসেবে। ২৩:৫৯:৬০ সেকেন্ডের পর ১ সেকেন্ড বন্ধ থাকবে সব ঘড়ি। এর পরই শুরু হবে সারাবিশ্বে নতুন বছর উদযাপন।
সর্বশেষ ২০১৫ সালের জুনে ‘লিপ সেকেন্ড’ ব্যবহার করা হয় এবং এবারের ‘লিপ সেকেন্ড’ হবে পৃথিবীর আণবিক সময় গণনার ইতিহাসে ২৭তম। যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল ফিজিক্যাল ল্যাবরেটরির প্রধান গবেষক পিটার হিবারলে জানান, পৃথিবীর আবর্তনের সঙ্গে আমাদের সময়ের ব্যবধান কমানোর জন্যই ‘লিপ সেকেন্ড’ দরকার। যদিও এ ব্যবধান অতি ক্ষুদ্রতর। কিন্তু ১ হাজার বছর পরে এ ‘লিপ সেকেন্ড’র পরিমাণ হয়ে যাবে ১ ঘণ্টার সমান। হিবারলে মজা করে এও জানান যে, ‘আণবিক ঘড়ি পৃথিবীর আবর্তনের চেয়ে এক হাজার গুণ সঠিক সময় জানায়।’ লিপ সেকেন্ড লিপ ইয়ারের মতোই একটা ব্যাপার। আমরা জানি এক বছরে ৩৬৫ দিন। আসলে সূর্যের চারপাশে পৃথিবীর একবার ঘুরে আসতে একদম সঠিক সময় লাগে ৩৬৫ দিন ৫ ঘণ্টা ৪৮ মিনিট ৪৬ সেকেন্ড। এই বাড়তি প্রায় ৬ ঘণ্টা সময় বাড়তি একটা দিন হিসেবে যোগ করা হয় চার বছর পর পর ফেব্রুয়ারি মাসের একটা দিন বাড়িয়ে। এই জন্যই ২৯ ফেব্রুয়ারি লিপ ইয়ার। একদিন লাফ। আর এখন হচ্ছে এক সেকেন্ড লাফ। মাত্র এক সেকেন্ড। ধৈর্য ধরুন এবং এক সেকেন্ড পর লাফ দিয়ে উঠুন নতুন বছর উদযাপনে। সূত্র : বিবিসি, উইকিপিডিয়া