পরাজয় থেকেই আগামীতে জয়ের স্বপ্ন দেখছেন সাখাওয়াত
হাসান আরিফ: নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থী সাখাওয়াত হোসন খান নতুন বছরে নতুনভাবেই এগিয়ে যেতে চান। এরই মধ্যে তিনি তার আইন পেশায় নিয়মিত হয়েছেন। পরাজয়ের পর আদালত পাড়ায়ও গিয়েছেন দুইদিন। একদিন এজলাসেও দাঁড়িয়েছেন। আজ থেকে তিনি আইনপেশায় নিয়মিত হবেন। একই সঙ্গে নারায়ণগঞ্জবাসীর অধিকার আদায়ে আগের মতোই সরব থাকবেন। আর তার নির্বাচনি প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের জন্যও জনমত গড়ে তোলবেন।
গতকাল আমাদের অর্থনীতির সঙ্গে একান্ত আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় তিনি তার আগামীর নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেন। যা পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হল।
সাখাওয়াত হোসেন জানিয়েছেন, পরাজয় থেকেই আগামীর জয়ের স্বপ্ন দেখছেন তিনি। তারা আগামী দিনগুলোতে রাজনীতিতে আরও বেশি সক্রিয় হবেন। নারায়ণগঞ্জবাসীর অধিকার আদায়ে অতীতের মত আন্দোলন করবেন। এলাকার মাদক আর সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সক্রিয় থাকবেন। নারায়ণগঞ্জের বহুল আলোচিত ৭ খুনের মামলায় যেমন ভাবে আইনি সহায়তা দিয়েছেন, একই ভাবে অন্যান্য অন্যায় অনিয়মের বিরুদ্ধে আইনি সহায়তা দিয়ে যাবেন। ফলে রাজনীতি করলেও তিনি আইনপেশা থেকে বিচ্ছিন্ন হবেন না বলেও জানান।
নবনির্বাচিত মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেছেন, তিনি তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেন যে নির্বাচনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তা থেকে এলাকার কল্যাণের জন্য ভাল প্রতিশ্রুতিগুলো বাস্তবায়ন করবেন। এ বিষয়ে সাখাওয়াত হোসেন বলেন, তিনি নারায়ণগঞ্জের উন্নয়নের জন্য ২৫টি বিষয় তুলে ধরেছেন। তাই এগুলো যদি তিনি বাস্তবায়ন করতে চান তবে অবশ্যই তাকে সহযোগিতা করা হবে। কারণ জনকল্যাণেই রাজনীতি করছি। সেই কল্যাণে তাকে সহযোগিতা করা দায়িত্ব বলেও মনে করেন তিনি।
তিনি বলেন, তার প্রতিশ্রুতিতে নগরবাসীর হোল্ডিং ট্যাক্স কমানো, ‘আবর্জনা ও সন্ত্রাস-মাদকমুক্ত’ নগর প্রতিষ্ঠাসহ ২৫ দফা প্রতিশ্রুতি ছিল। একই ভাবে সিটি করপোরেশন পরিচালনার জন্য দলমত নির্বিশেষে সকল ধর্ম, বর্ণ ও পেশার প্রতিনিধিদের নিয়ে উপদেষ্টা কাউন্সিল গঠনের কথা ছিল।
সাখাওয়াত হোসেনের অন্যান্য প্রতিশ্রুতির মধ্যে ছিল-শীতলক্ষ্যা নদীকে দূষণমুক্ত করার পাশাপাশি ৩৫টি খাল খনন ও দখলমুক্ত করা, শীতলক্ষ্যা সেতু বাস্তবায়ন, ২ নম্বর রেলগেট ও চাষাড়া এলাকায় ফ্লাইওভার বা আন্ডারপাস নির্মাণ, নারায়ণগঞ্জ শহরকে যানজটমুক্ত করা, আইনশৃঙ্খলার উন্নতি ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ, পঞ্চায়েত ও বিশিষ্ট নাগরিকদের নিয়ে প্রতিটি মহল্লায় কমিটি গঠন, বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করা, টিউবওয়েল ও ডিপ টিউবওয়েলের ওপর থেকে কর প্রত্যাহার, সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে কম ভাড়ায় আধুনিক বাস সার্ভিস চালু, খেলাধুলার বিকাশের জন্য শীতলক্ষ্যার দুই তীরে দুটি আধুনিক স্টেডিয়াম নির্মাণ, হাজীগঞ্জ ও সোনাকান্দা কিল্লাকে নগরবাসীর জন্য আধুনিক বিনোদন কেন্দ্রে পরিণত করা, মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারকে নগর কর্তৃপক্ষের সব কর থেকে অব্যাহতি দেওয়া এবং নারায়ণগঞ্জ ও বন্দরে মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ এবং পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা। সম্পাদনা: নাশরাত আর্শিয়ানা চৌধুরী