জাফর আহমদ: ‘নতুন নতুন পণ্য তুলে ধরার মাধ্যমে ভোক্তার পরিধি বৃদ্ধির লক্ষ্যে শুরু হচ্ছে বাণিজ্য মেলা। পাশাপাশি দেশি-বিদেশি বিভিন্ন ধরনের পণ্যের উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে দেশি পণ্যের মান, সেবার মান উন্নয়ন ও পণ্যমূল্যের ভারসাম্য বৃদ্ধি করার জন্য আজ থেকে বাণিজ্য মেলা শুরু হচ্ছে; মেলা চলবে একমাসব্যাপী। এ মেলা দেশের বাণিজ্য উন্নয়নে যে অভিষ্ট আছে, তা বাস্তবায়ন হবে প্রত্যাশা করছে মেলার সাথে সংশ্লিষ্টরা। মেলা শুরুর আগের দিন গতকাল মেলা প্রাঙ্গণে সরেজমিনে গেলে এ তথ্য জানিয়েছে মেলা সংশ্লিষ্টরা।
মেলায় বরাবরের মতো মেলার নিরাপত্তা, দর্শনার্থীদের চাহিদা মোতাবেক মা ও শিশুকেন্দ্র, শিশুপার্ক, ইকোপার্ক, ই-শপ, ই-পার্ক, ফুডকোর্ট, পর্যাপ্ত টয়লেট, এটিএম বুথ, মসজিদ, পোস্ট অফিস, প্রতিবন্ধীদের জন্য থাকছে অটিজম সেন্টার, মাদার কেয়ার সেন্টার, স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র। গতকাল বিকালে দেখা যায়, মেলা শুরু হতে একদিন বাকি থাকলেও মেলার সকল আয়োজন প্রায় শেষ। এখনো দু-একটি কাজ বাকি আছে সেগুলো শেষ কাজটুকু করা হচ্ছে।
মাসব্যাপী অনুষ্ঠেয় এ মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত দর্শনার্থীরা যাতায়াত করতে পারবে। এক্ষেত্রে প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য প্রবেশ মূল্য ৩০ টাকা এবং অপ্রাপ্তবয়স্কদের জন্য থাকছে ২০ টাকা করে। এবারের মেলায় প্রতিদিন গড়ে একলাখ দর্শনার্থী উপস্থিত হবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
গতকাল সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ জানান, এ বছর আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় ১৩ ক্যাটাগরিতে মোট ৫৫৩টি স্টল ও প্যাভিলিয়ন বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে প্রিমিয়ার প্যাভিলিয়ন ৬০টি, জেনারেল প্যাভিলিয়ন ১০টি, রিজার্ভ প্যাভিলিয়ন তিনটি, ফরেন প্যাভিলিয়ন ৩৮টি রয়েছে। এ ছাড়া থাকছে প্রিমিয়ার মিনি প্যাভিলিয়ন ৩৬টি, জেনারেল মিনি প্যাভিলিয়ন ১৩টি, রিজার্ভ মিনি প্যাভিলিয়ন ছয়টি, ফুডস্টল ২৫টি ও রেস্টুরেন্ট পাঁচটি।
এছাড়া ভোক্তাদের স্বার্থ সংরক্ষণ ও অভিযোগ নিষ্পত্তির জন্য জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যমাণ আদালত থাকবে। নিরাপত্তার স্বার্থে একই সঙ্গে মেলায় থাকবে পুলিশ, র্যাব ও আনসারের পাশাপাশি বিজিবি সদস্য। অগ্নি দুর্ঘটনা এড়াতে থাকবে ফায়ার ব্রিগেডের ব্যবস্থা। এ ছাড়া মেলার চারপাশে থাকছে ১০০টি সিসি টিভি। মেলায় প্রধান প্রধান পণ্য তালিকায় থাকছে মেশিনারিজ, কার্পেট, কসমেটিক্স ইলেকট্রিক্যাল, পাটজাত পণ্য, লেদার, স্পোর্টস গুডস, জুয়েলারি সামগ্রী প্রভৃতি। সম্পাদনা: নাশরাত আর্শিয়ানা চৌধুরী