যত বাধাই আসুক, নিজের কথা বলতে হবে
উম্মুল ওয়ারা সুইটি: প্রতিবাদ করলে অনেক বেশি হয়রানিতে পড়তে হয়। তারপরও প্রতিবাদ অব্যাহত রাখতে হবে। নিজের কথা বলতে হবে। কথা বললেই কেবল সামাজিক আন্দোলন সম্ভব। তাই হয়রানির শিকার মেয়েদের মাথা তুলে দাঁড়াতে হবে। এ ব্যাপারে পরিবারগুলোকে সব সংকোচ থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা নিতে আসা ১৪ বছরের কিশোরীর মা আরিফা বলেন, নির্যাতনের কথা ভয়ে বলেননি। আবার সমাজ একঘরে করবে তাই বলা হয়নি। কিন্তু তাতে কোনো লাভ হয়নি। অপরাধী পার পেয়ে গেছে। কিন্তু সামাজিকভাবে যা ক্ষতি হওয়ার তা হয়ে গেছে।
আরিফা বলেন, তার মেয়ে জেলা শহরে এক দূর সম্পর্কের আত্মীয় বাড়িতে কাজ করতে এসে যৌন হয়রানির শিকার হয়। সেই বাড়ির এক আত্মীয় এই ঘটনার জন্য দায়ী। মেয়েটি ভয়ে ওই বাড়ি থেকে পালিয়ে আসে। আর সঙ্গে সঙ্গে ওই ছেলে এসে হাতে পায়ে ধরে এবং চিকিৎসার জন্য টাকা দেয়। মেয়েকে বিয়ে করবে বলে প্রতিশ্রুতি দেয়। ওই ছেলের কথা বিশ্বাস করে পুরো পরিবার চুপ থাকে এবং গোপনে মেয়ের চিকিৎসা করে। আবার তারা এও প্রকাশ করে ওই ছেলের সঙ্গে তার মেয়ের বিয়ে হবে। তাই ওই ঘটনা তারা চেপে যায়। কিন্তু ৬ মাস হতে চললো, ওই ছেলে এখন লাপাত্তা। এদিকে এক কান দুই কান করে সবাই বিষয়টি জেনে গেছে। আর সবাই মেয়ের পরিবারকেই দোষারোপ করছে। বলছে তোমরা লোভে পড়েছ। বাড়ির মালিকের আত্মীয় তোমাদের মতো গরিব ঘরের মেয়েকে বিয়ে করবে।
আরিফা বলেন, আমি যদি ঘটনা সবাইকে জানাতাম তাহলে অন্তত প্রতিবাদ করতো কেউ। তাই যাই ঘটুক আশপাশের মানুষকে সবকিছু জানাতে হবে।