বছরের বড় অপরাধের ঘটনা গুলশানের হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলা
আজাদ হোসেন সুমন: বছরের সেরা অপরাধের ঘটনা হিসেবে চিহ্নিত হয়ে রইলো চাঞ্চল্যকর গুলশানে জঙ্গি হামলার ঘটনা। এই ঘটনায় প্রাণ হারায় ২৮ জন মানুষ। ২০ জন জিম্মি, ২ পুলিশ সদস্য, ৫ জঙ্গি ও ১ সেফ। এটা ছিল বাংলাদেশের জঙ্গিবাদের ইতিহাসের টার্নিং পয়েণ্ট। এই ঘটনায় বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের ভয়াবহতার ইঙ্গিত দেয়। সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের নির্দেশে র্যাব, পুলিশ সিটিটিসি ইউনিটসহ সব গোয়েন্দা সংস্থা একযোগে মাঠে নামে।
শনাক্ত হওয়া আসামিদের মধ্যে ১১জন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন অভিযানে নিহত হয়েছে। এই ১১ জনের মধ্যে গুলশান হামলায় সরাসরি অংশ নেওয়া পাঁচ জঙ্গিও রয়েছে। দুই জন ভারতে পলাতক রয়েছে বলে জানা গেছে। দুই জনকে গুলশান মামলায় সরাসরি গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। ৯ জনকে অন্যান্য মামলায় গ্রেফতার দেখানো হলেও গুলশান হামলায় তাদের সহযোগিতার প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত সংশ্লিষ্টরা। নিহতদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হচ্ছেÑ মেজর জাহিদ, মাস্টারমাইন্ড তামিম। ১ জুলাই হলি আর্টিজানের ওই হামলার পর আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জঙ্গিদের বিরুদ্ধে ক্রুশেড ঘোষণা করে। একের পর এক অভিযানে জঙ্গি আস্তানা গুড়িয়ে দেয় পুলিশ। গুলশান হামলায় বিশ্বব্যাপি বাংলাদেশের ভাবমূর্তি অনেকটাই ক্ষুণœœ হয়। কিন্তু মাত্র ৬ মাসের মিশন নিয়ে পুলিশ সেই ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হয়। ফলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে বাংলাদেশে বিনিয়োগের প্রস্তাব আসতে শুরু করে। এ ব্যাপারে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ‘গুলশান হামলার মাস্টারমাইন্ড বা মূল সমন্বয়কসহ অনেককেই শনাক্ত করা হয়েছে। এদের কেউ কেউ বিভিন্ন অভিযানে নিহত হয়েছে। কেউ কেউ এখনও পলাতক রয়েছে। তাদের আমরা গ্রেফতারের চেষ্টা করছি। তিনি বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে এটি একটি বড় জঙ্গি হামলার ঘটনা ছিল। তিনি আরও বলেন, আমেরিকায় যেমন ৯/১১ হামলা হয়েছে, ব্রিটেনে ৭/৭ হামলা ও ভারতের মুম্বাই হামলার মতো গুলশান হামলার ঘটনাটিও একটি স্পর্শকাতর ঘটনা। তিনি আরও বলেন, অবশ্য পুলিশ বাহিনী ইতিমধ্যে ওই ক্রাইসিস ওভারকাম করতে সক্ষম হয়েছে। শুধু ওভারকাম বললে ভুল হবে-আমরা ইতিমধ্যে দেশ থেকে জঙ্গিবাদ অনেকটাই নির্মূল করে দিতে সক্ষম হয়েছি।