বিপ্লব বিশ্বাস: পূর্বপরিকল্পিতভাবে জামায়াত ও তাদের সহযোগী জঙ্গি সংগঠনই গাইবান্ধা-১ আসনের সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনকে হত্যা করেছে। এটা জামায়াতের একটি কৌশল। গোয়েন্দা সূত্রগুলো ইতোমধ্যে হত্যায় কে বা কারা তার একটি তালিকা তৈরি করেছে। একটি সূত্র জানায়, স্থানীয় এক শিবির ক্যাডারের সহযোগিতায় পাশর্^বর্তী একটি জেলার দুর্ধর্ষ তিন কিলার লিটনকে হত্যা করে। সূত্র জানায়, সরকারকে বেকায়দায় ফেলানোর জন্য এই মহলটি টার্গেট কিলিংয়ের পথ বেছে নিয়েছে। দেশের বিভিন্নস্থানে এ ধরনের অরাজকতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে তারা। লিটনকে হত্যার আগে তারা বাসাসহ যাতায়াতের স্থানে বেশ কয়েকদিন ধরে র্যাকি করে। আর এই হত্যাকা-ে জঙ্গিদের প্রফেশনাল কিলারদের কাজে লাগায় বলে জানা গেছে। পুলিশের একটি সূত্র বলেছে, দেশে গত বছরে সরকার দলীয় যত নেতাকে সন্ত্রাসীরা হত্যা করেছে এর পেছনে এই জঙ্গিদের হাত থাকতে পারে। এ নিয়ে র্যাব, পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, জামায়াত-শিবির গাইবান্ধা ১ আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনকে হত্যার ঘটনা ঘটিয়েছে। পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে। নানক বলেন, ‘জামায়াত শিবির জঙ্গিগোষ্ঠী এই হত্যাকা- ঘটিয়েছে। লিটনকে হত্যার মাধ্যমে আওয়ামী লীগ ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে দুর্বল করার চেষ্টা করা হয়েছে। পুলিশ জড়িত সন্দেহে ১৮ জনকে গ্রেফতার করলেও আসল খুনিদের এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি বলে একটি সূত্র জানিয়েছে। র্যাব ও পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। সম্পাদনা: এনামুল হক