হাসান আরিফ: অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে গ্রামীণ ব্যাংককে নতুন ভূমিকায় পুনরুজ্জীবিত করতে কাজ শুরু হয়েছে। বিদায়ী বছরের মতো নতুন বছরও ভালো যাবে এমনটা আশা করে অর্থমন্ত্রী বলেন, এ বছরে ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনাসহ সব পরিকল্পনা বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া একই গতিতে থাকবে।
গতকাল অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংকিং ডিভিশনের পক্ষ থেকে নববর্ষের শুভেচ্ছা গ্রহণের পর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। অপসারণের পরও ইউনূসের কারণেই গ্রামীণ ব্যাংকের বিষয়ে সরকার কোনো পদক্ষেপ নিতে পারছিল না জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমরা বহুদিন এই সম্পর্কে কোনো কিছু করতে পারিনি। এখন ঠিক করেছি, এটাকে এভাবে ছেড়ে দেওয়া যায় না। এটাকে এখন মানুষ করা দরকার। তবে ক্ষুদ্র ঋণ বিতরণের এই ব্যাংকে এখন সাপ্তাহিক কিস্তি আদায় তুলে দেওয়ার পক্ষপাতী অর্থমন্ত্রী। তার মতে, এক সময় প্রয়োজন থাকলেও এখন তার কোনো প্রয়োজন নেই।
মুহিত বলেন, গ্রামীণ ব্যাংকের দুটি উদ্দেশ্য ছিল, ক্রেডিট ইজ দ্য রাইট অব পুওরেস্ট ব্যাংক। হেবিট অব পেমেন্টকে রেগুলারাইজ করতে হবে। এই দুটাই ইতোমধ্যে প্রতিষ্ঠিত। দেশে এখন গ্রামীণ ব্যাংকের মতো বহু কর্মসূচি রয়েছে। অসংখ্য ক্ষুদ্র ঋণ প্রকল্প আছে। এটার অগ্রদূত হচ্ছে গ্রামীণ ব্যাংক, একে এখন রেলেভেন্ট করতে হবে। এটাকে রেলেভেন্ট করার ইচ্ছা মুহিতের।
অন্য প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে জটিল কিছু দেখছেন না। দারিদ্র্যবিমোচন, প্রবৃদ্ধি, রিজার্ভ ও মূল্যস্ফীতিতে স্বস্তি থাকলেও ২০১৬ সালে বেসরকারি খাতে আশানুরূপ বিনিয়োগ টানতে পারেনি সরকার।
বছর শেষ ও নতুন বছর উদযাপন করতে না পারার হতাশা প্রকাশ করে মুহিত বলেন, আমাদের দুর্ভাগ্য আমরা ইয়ার এন্ডিং উদযাপন করতে পারি না। ৩১ ডিসেম্বর রাত সাড়ে আটটার দিকে মনে হয়েছে শহর যেন মৃত। মানুষ ঘরে চলে গেছে। গাড়ি ঘোড়া চলছে না। নিরাপত্তা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় কিন্তু সেটিকে কাটিয়ে উঠে আমরা যদি সফলভাবে বছর উদযাপন করতে পারতাম তবে ভালো হতো। সম্পাদনা: এনামুল হক