বিশ্বজিৎ দত্ত: বাংলাদেশ ব্যাংকের গত বছরের ডিসেম্বরে প্রকাশিত মনিটরি পলিসি স্টেটমেন্টে বলা হয়েছে, এবছর জাতীয় উৎপাদনের বৃদ্ধির হার ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। যা ভারতের গড় বৃদ্ধির চেয়ে দশমিক ৪ শতাংশ বেশি। অবশ্য পরিকল্পনা কমিশন বলেছে, আগামী বছর বাংলাদেশের গড় বৃদ্ধির হার হবে ৭ দশমিক ১২ শতাংশ।
উল্লেখ্য, ভারতের বর্তমান মোট জাতীয় উৎপাদনের (জিডিপির) হার কমেছে দশমিক ৫ শতাংশ। গত বছরের ৬ ডিসেম্বর ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক (আরবিআই)তাদের পঞ্চম দ্বি-মাসিক রিপোর্টে গভর্নর উরজিত প্যাটেল বলেন, আগামী বছর যুক্তরাষ্ট্রে সুদের হার বৃদ্ধি পেতে পারে যার প্রেক্ষিতে ভারতের বৃদ্ধির হার ৭ দশমিক ৬ শতাংশ থেকে কমে ৭ দশমিক ১ শতাংশ হবে। তবে ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও অর্থনীতিবিদ মনমোহন সিং রাজ্য সভার বক্তব্যে বলেছেন, আগামী বছর ভারতের জিডিপির বৃদ্ধি ২ শতাংশ কমে যাবে। তার মতে অপরিকল্পিতভাবে নোট বাতিলের জেরে বৃদ্ধিতে এই ধাক্কা লাগবে।
অন্যদিকে বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত তার বাজেট ভাষণে বলেছেন, আগামী ২০২১ সালে বাংলাদেশের জাতীয় উৎপাদন বৃদ্ধির হার হবে ১০ শতাংশ। আন্তর্জাতিক রেটিং এজেন্সি স্ট্যান্ডার্ড এ্যান্ড পুওরস এর মানদ- অনুযায়ী বাংলাদেশের সমমানের দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশের গড় বৃদ্ধি বেশি। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুকের হিসাবে চীনের গড় বৃদ্ধির তুলনায় বাংলাদেশের গড় বৃদ্ধি আগামী বছর বেশি থাকবে। তাদের হিসাবে আগামী বছর চীনের বৃদ্ধির গড় হবে ৬ দশমিক ৩ শতাংশ। অন্যদিকে বাংলাদেশের হবে ৭ দশমিক ১২ শতাংশ। সম্পাদনা: সুমন ইসলাম