মামুন খান: ভুল স্বীকার করে আদালতের কাছে ক্ষমা চেয়ে কারণ দর্শানোর দায় থেকে পার পেয়েছেন সাভার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম কামরুজ্জামান। গতকাল ঢাকার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমানের আদালতে হাজির হয়ে ক্ষমা চান কামরুজ্জামান। বিচারক কামরুজ্জামানকে কারণ দর্শানোর দায় থেকে অব্যাহতি প্রদান করে তাকে কাজের প্রতি আরও যতœশীল হওয়ার নির্দেশ দেন।
প্রতারণা ও মারধরের অভিযোগে সাভারের দৈনিক ফুলকি পত্রিকার সাংবাদিক ইমদাদুল হক গত ৬ ডিসেম্বর ঢাকার মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় সাভার উপজেলা সেটেলমেন্ট অফিসের সহকারী আমির হোসেন, উপ-সহকারী আবু তৈয়ব আলী মজুমদার ও খারিজ সহকারী টিএম জাহাঙ্গীর আলমকে আসামি করা হয়। ওই দিন আদালত মামলাটি সাভার থানার ওসিকে এজাহার হিসেবে গ্রহণ করার আদেশ দেন। কিন্তু তিনি ৬ ডিসেম্বর থেকে ২৮ ডিসেম্বর মামলাটিকে এজাহার হিসেবে গ্রহণ করেননি।
দীর্ঘদিন মামলাটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ না করার কারণে বাদীর আইনজীবী আনিছুর রহমান গত বৃহস্পতিবার তা আদালতকে অবহিত করেন। ওই দিনই আদালত সাভার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে আদালতে হাজির হয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন। কারণ দর্শানোর আদেশে বিচারক উল্লেখ করেন, আদালতের নির্দেশের পরও সাভার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামলাটি এফআইআর হিসেবে গ্রহণ করেনি। যা তার পেশাগত অদক্ষতা ও অসদাচরণের সামিল।
সংশ্লিষ্ট আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর আনোয়ারুল কবীর বাবুল বলেন, আদালতের নির্দেশের পরও মামলাটি থানায় এজাহার না করার কারণে গত বৃহস্পতিবার সাভার থানার ওসি এসএম কামরুজ্জামানকে আদালতে হাজির হয়ে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেন আদালত। সেই নির্দেশে ওসি আদালতে হাজির হয়ে ক্ষমা চাইলে বিজ্ঞ আদালত তাকে কারণ দর্শানোর দায় হতে অব্যাহতি প্রদান করেন। সম্পাদনা: এনামুল হক