মুনওয়ার আলম নির্ঝর: গেল বছরে তেলের দাম বেশ কযেকবার ওঠা-নামা করেছে। এতে বছর শেষে দেখা গেছে, বিশ্ববাজারে তেল রপ্তানি করে বেশ মুনাফা অর্জন করেছে রপ্তানিকারক দেশগুলো। গত বছররে শুরুর দিকে প্রতি ব্যারল জ্বালানি তলেরে দাম ছিল ৫৫ দশমিক ০৫ মার্কিন ডলার। তবে গত শুক্রবার বছরের শেষ দিনে আন্তর্জাতকি বাজারে দাম ছিল ৫৩ দশমকি ৭২ ডলার।
রয়টার্সে ইতান লো এর করা এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৬ সালে তেল বাণিজ্যের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই) ৪৫ শতাংশ এবং যুক্তরাজ্যের ব্রেন্ট ৫২ শতাংশ পর্যন্ত মুনাফা করেছে। ২০০৯ সালের পর এটিই সর্বোচ্চ। রিপোর্টটিতে আরও বলা হয়েছে, ২০০৯ সালে ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের ৭১ শতাংশ থেকে ৭৮ শতাংশ পর্যন্ত মুনাফা হয়েছিল। এরপর আন্তর্জাতিক তেল বাণিজ্যে মুনাফা কমতে থাকে। তবে ২০১৬ সালে সেই মুনাফা আবারও বেড়েছিল ।
ওয়াশিংটনের জ্বালানি পণ্যদ্রব্যের বিশেষায়িত ব্রোকার পাওয়ার হাউসের প্রেসিডেন্ট এলিন লেভিন বলেন, ২০১৬ সালে অল্প বাণিজ্যে ভালো মুনাফা করেছে জ্বালানি তেল বাণিজ্যের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা। এমনকি ২০১৭ সালের পরিকল্পনাও গ্রহণ করেছেন তারা। তিনি রয়টার্সকে আরও বলেন, আগামী ২ বছরে তেলের উৎপাদন কমিয়ে এর দাম আরও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওপেকভুক্ত দেশগুলো।
এদিকে বছরের বেশিরভাগ সময়ে তেলের দাম নিম্নমুখী থাকার জন্য বাজারে ডলার শক্তিশালী হওয়াকেই দায়ী করেছেন বিশ্লেষকরা। তাদের মতে, তেলের অতিরিক্ত উৎপাদন কোনোভাবেই এর দাম কমার জন্য দায়ী নয়। সম্পাদনা: এনামুল হক