কামরুল আহসান: আলাস্কার সাবেক গভর্নর সারাহ পলিন নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্টকে জাতিসংঘ ত্যাগ করতে বললেন। ইসরায়েল পরিস্থিতি নিয়ে নেতানিয়াহু ও বারাক ওবামার সঙ্গে বাকবিত-া চলছে। নেতানিয়াহু জানিয়েছিলেন তিনি আর ওবামা প্রশাসনের কারও সঙ্গে কথা বলতে চান না, তিনি বরং পরবর্তী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জন্য অপেক্ষা করবেন। জাতিসংঘও বারাক ওবামাকে সমর্থন দিয়েছিল। কিন্তু এই সুযোগে ডোনাল্ড ট্রাম্প জাতিসংঘকে ‘বিনোদন ক্লাব’ আখ্যা দিয়ে নেতানিয়াহুকে নিশ্চিন্ত করেছিলেন, আমি আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন, আমি এসে সব ঠিক করে ফেলব। জাতিসংঘকে অবমাননা করার অপরাধে সারাহ পলিন দাবি করছেন ডোনাল্ড ট্রাম্পের জাতিসংঘে থাকার কোনো অধিকার নেই। জাতিসংঘ আমাদের সর্বোচ্চ শান্তিকামী নেতৃত্বদানকারী প্রতিষ্ঠান। আমাদের দেশের পরবর্তী সময়ের সর্বোচ্চ নেতা তাকে যেভাবে ব্যক্তিগত আক্রমণের পর্যায়ে নিয়েছেন তাতে সমস্ত আমেরিকাবাসীর অবমাননা। মানুষ আমাদের উপর আস্থা হারিয়ে ফেলবে। তিনি এখন দুটি কাজই করতে পারেন। হয় জাতিসংঘের আইন মেনে তাকে চলতে হবে। না হয় জাতিসংঘ ত্যাগ করতে হবে।
মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠা নিয়ে বর্তমানে অশান্তি বিরাজ করছে ট্রাম্প ও ওবামা প্রশাসনের মধ্যে। ওবামা প্রশাসন ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের মধ্যে বিবাদ দূর করতে চেয়েছিলেন। ফলস্বরূপ ফিলিস্তিন অধিকৃত এলাকায় বসতি স্থাপন বন্ধ করতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি একটি রূপরেখা প্রকাশ করেছিলেন। কেরি বলেছিলেন, দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানই ইহুদি কিংবা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে ইসরায়েলের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে। এ ব্যাপারে আমেরিকা জাতিসংঘের স্বীকৃতি আদায় করে। ইসরায়েল এ বিষয়ে কঠোর প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে। ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট নেতানিয়াহু সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, বর্তমান লুপ্তপ্রায় ওবামা প্রশাসনের প্রতি তাদের আর কোনো আস্থা নেই। তারা পরবর্তী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জন্যই অপেক্ষা করছেন। ডোনাল্ড ট্রাম্প জাতিসংঘকে বিনোদন ক্লাব আখ্যা দিয়ে জানিয়েছিলেন, আমি আগামী মাসে শপথ নেওয়া পর্যন্ত শক্ত হয়ে থাকুন। সূত্র : দ্য হিল