স্পোর্টস ডেস্ক: বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতা ঘরের মাঠে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ থেকেই চোখে পড়ছে। বিশেষ করে টপ অর্ডার বা মিডল অর্ডারের ব্যাটসম্যানরা তাদের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারছেন না।
এর ফলাফলটা ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হোম সিরিজেও টের পেয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের টিম ম্যানেজমেন্ট। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের হাতছানি থাকলেও ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় তা কাজে লাগাতে পারেনি টাইগাররা। দেশের বাইরেও যেন একই চিত্র চোখে পড়লো। সিনিয়র ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতার কারণে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে বাংলাদেশ। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে প্রথমবারের মতো কিউইদের হারানোর সুযোগ ব্যাটিং ব্যর্থতায় কাজে লাগাতে পারেনি মাশরাফিরা।
বিশেষ করে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে নিউজিল্যান্ডকে ২৫১ রানে আটকে দিয়েও তাদের হারাতে ব্যর্থ হয়। শেষ ওয়ানডেতেও ভালো শুরুর পর টপ অর্ডার ও মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানদের দায়িত্বজ্ঞানহীন ব্যাটিংয়ের কারণে বড় স্কোর গড়তে ব্যর্থ হয় কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের শিষ্যরা। তাই ব্যাটসম্যানদের দিকে বাড়তি নজর সবার। কোচও ব্যাটসম্যানদের নিয়ে রুদ্ধদার বৈঠক করলেন। ওয়ানডে সিরিজে বাংলাদেশ হোয়াইটওয়াশ হয়েছে। তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজ আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে শুরু হবে। তাই তো ব্যাটসম্যানদের নিয়ে আলাদা বৈঠক করে তাদের পরামর্শও দিয়েছেন কোচ।
টি-২০ সিরিজে জিততে মরিয়া টাইগাররা। আর নিউজিল্যান্ডকে তাদের মাটিতে হারাতে হলে তিন ডিপার্টমেন্টেই ভালো করতে হবে। বোলিংয়ে অসাধারণ করেছে বাংলাদেশ। শুধু ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতার কারণেই ওয়ানডেতে আড়াই বছর পর হোয়াইটওয়াশ হতে হলো বাংলাদেশকে।
জয়ের ধারায় ফিরতে হলে ব্যাটসম্যানদের জ্বলে ওঠার বিকল্প নেই। তাই ব্যাটসম্যানদের নিয়ে আলাদা মিটিং করলেন টাইগারদের গুরু। এদিকে প্রথম টি-২০ খেলতে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল নেপিয়ারে পৌঁছেছে। ৩ জানুয়ারি প্রথম টি-২০তে নিউজিল্যান্ডের মুখোমখি হবে বাংলাদেশ।
নেপিয়ারে প্রথম টি-২০ খেলে ৪ জানুয়ারি বাংলাদেশ দল যাবে মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে। সিরিজের শেষ দুটি টি-২০ হবে সেখানেই। ক্রিকইনফো। সম্পাদনা: সুমন ইসলাম