কামরুল আহসান: জাপানি বিজ্ঞানী নাকামাসু ১৪৪ বছর বাঁচতে চান, উদ্ভাবন করতে চান ৬ হাজারের উপর পেটেন্ট। ৮৮ বছর বয়স্ক নাকামাসু এরমধ্যে সাড়ে ৩ হাজার পেটেন্ট আবিষ্কার করেছেন। আবিষ্কারের চেয়েও টেলিভিশনে মজাদার একজন মানুষ হিসেবে উপস্থিতির জন্য তিনি বেশি পরিচিত। জাপানের চেয়ে আমেরিকাতেই বিজ্ঞানি হিসেবে বেশি খ্যাতিমান তিনি।১৪ বছর বয়সে তিনি পাম্প মেশিন আবিষ্কার করেছিলেন। ঠা-ার মধ্যে মায়ের তেলতোলা কষ্ট দেখে তিনি সেই মেশিনটি আবিষ্কার করেন। সাম্প্রতিক সময়ে তিনি বিশ্বজুড়ে আলোচিত হয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জন্য অদ্ভুত একটি পরচুলা আবিষ্কার করে। ডোনাল্ড ট্রাম্প তার ছাত্র। পরচুলাটির ভিতর জাপানি ব্লেড আছে। কেউ আক্রমণ করতে আসলে একটা সুইচ টিপলেই পরচুলাটি মাথা থেকে লাফ দিয়ে গিয়ে শত্রুকে ঘায়েল করে আবার নিজের মাথায় চলে আসবে। নাকামাসুর আবিষ্কারগুলো অদ্ভুত। জানা যাক তার কিছু পরিচিত মজার আবিষ্কারের কথা।
ফ্লোপি ডিস্ক এবং হেড ক্লিনিংও আবিষ্কার করেছেন তিনি। নাকামাসু বলেন, মৃত্যুর ০.৫ সেকেন্ড আগেও তিনি নতুন কিছু আবিষ্কার করে যেতে চান। প্রোলিফিক আবিষ্কারক হিসেবে তিনি অস্ট্রেলিয়ার প্রোলিফিক বিজ্ঞানী কিয়া সিরভারব্রুক এবং জাপানি প্রোলিফিক বিজ্ঞানী সুনপাই ইয়ামাজাকিকে ছাড়িয়ে যেতে চান। কিয়া সিরভাব্রুক ও সুনপাই যথাক্রমে ৪ হাজার ৭৩৭টি এবং ৪৬৭৭টি পেটেন্ট আবিষ্কার করেছেন। প্রোলিফিক বিজ্ঞানী হিসেবে সবচেয়ে বিখ্যাত হচ্ছেন থমাস এসিন। যিনি প্রায় ১ হাজার ৯৩টি পেটেন্ট আবিষ্কার করেছিলেন। প্রোলিফিক বিজ্ঞানীরা সাধারণত ছোটখাট অসংখ্য আবিষ্কার করে থাকেন। নাকামাসু বলেন, মাথা তার গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তার কাছে সবচেয়ে মূল্যবান হচ্ছে নিজের ব্রেন। ব্রেনের ব্যাপারে তিনি খুব সচেতন। নিয়ম করে খান, ঘুমান। প্রতিদিন চারঘণ্টা ঘুমান। খুব স্বল্পাহারি এবং নিরামিষভোজী। তিনি বলেন, পানির নিচে ডুব দিলে তার মাথা খুব দ্রুত খুলে যায়। আর তার জীবনের সেরা আইডিয়াগুলো পেয়েছেন বাথরুমে বসে থেকে। বাথরুমকে তিনি নাম দিয়েছেন শান্ত চিন্তার জগত। ২০১৩ থেকে তিনি ক্যান্সারে ভুগছেন। এরমধ্যে একবার সফল অস্ত্রোপচারও হয়েছে। ক্যান্সারাক্রান্ত থাকার সময় নিজের চলাচলের জন্য নিজেই একটা অত্যাধুনিক হুইলচেয়ার বানিয়ে নিয়েছেন, যা তাকে প্রায় একজন সহকারী রোবটের মতোই সহযোগিতা করে। সূত্র : উইকিপিডিয়া, জাপান টাইমস