ব্রিটিশ প্যাঁচে হংকংয়ের উপর ছড়ি ঘুরাচ্ছে চীন
অনির্বাণ বড়ুয়া: এক দেশ দুই ব্যবস্থা। হংকং চীনের অংশ হলেও নিজেদের আইন প্রণয়নের ক্ষমতা রয়েছে। হংকংয়ের নিয়মনীতিও চীনের চেয়ে ভিন্ন। তবে দেশটা কিন্তু চীনই। আর এটিই সহ্য করতে পারছে না হংকংয়ের স্বাধীনতাবাদীরা। চলছে আন্দোলনও। এদিকে হংকংয়ের স্বাধীনতা শব্দটিকেই সহ্য করতে পারছে না চীন।
হংকংয়ে অবস্থিত লিয়াজোঁ অফিসের প্রধান ঝ্যাং শিয়াওমিং রোববার এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘চীনের স্থিতিশীলতা নষ্ট করে কিংবা কেন্দ্রীয় সরকারকে চ্যালেঞ্জ করে হংকংয়ের এমন কোনো তৎপরতা সহ্য করা হবে না।’
১৯৯৭, প্যাঁচটি লাগায় ব্রিটেন। এক চুক্তির মাধ্যমে হংকংকে ৫০ বছরের জন্য চীনের কাছে হস্তান্তর করে যায় তারা। তখনই ঠিক হয় এক দেশ দুই ব্যবস্থার বিষয়টি। রাজনৈতিক ব্যবস্থাও হংকংয়ের আলাদা। তবে চীনের কারণে যে হংকংয়ের এই স্বায়ত্তশাসন খর্ব হচ্ছে তার প্রমাণ হচ্ছে সম্প্রতি স্বাধীনতাপন্থি দুজন আইনপ্রণেতাকে বহিষ্কার করে বেইজিং।
কেবল স্বাধীনতাপন্থি রাজনীতিবিদই নয় বরং কোনো কিছুকেই মেনে নিতে পারছে না চীন। গত বছরও চীনা নেতাদের সমালোচনা করে লেখা ছাপানোর কারণে গুম হন হংকংয়ের ৫ প্রকাশক।
ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করে রাখতে হংকংয়ের আইন প্রণেতা অর্থাৎ সরকার প্রধানও কৌশলে চীনপন্থি একজনই হন। যেমন হংকংয়ের বর্তমান নেতা চুন-ইং চীনের একজন পোষ্য। জনপ্রিয়তার অভাবে তিনিও গুডবাই বলার পথেই আছেন। যিনি আসছেন তিনিও কট্টর চীনপন্থি বলে পরিচিত রেগিনা ইপ। এফএ। সম্পাদনা: হাসিবুল ফারুক চৌধুরী