ধর্ষণের শিকার হয়ে বন্ধ্যা হিসেবে বেঁচে থাকতে হবে রতœাকে
উম্মুল ওয়ারা সুইটি: ধর্ষণের শিকার হয়ে অনেক মেয়েই সারা জীবনের জন্য নারীত্ব হারিয়েছেন। ১৩ বছর বয়সে কিশোরগঞ্জের রতœা ধর্ষণের শিকার হন। টানা ৫ বছর চিকিৎসার পরও রতœার শরীর সুস্থ হয়নি। সে আর কোনো দিন মা হতে পারবে না।
সংসারের বড় মেয়ে রতœার বিয়ের জন্য সম্বন্ধ আসলেও মা হতে পারবে না শুনে ছেলে পক্ষ পিছিয়ে পড়েছে। তাকে সবাই জানে বন্ধ্যা মেয়ে হিসেবে। জন্মগতভাবে রতœা বন্ধ্যা না হলেও তাকে সারাজীবন এই গ্লানি নিয়ে জীবন কাটাতে হবে। তার জন্য তার ছোট তিন বোনকে নিয়েও সবার সন্দেহ। গ্রামের লোকজন বলছে, বড়টা যেহেতু বন্ধ্যা এই মেয়েদের বংশগত সমস্যা থাকতে পারে।
রতœার মা আলেয়া বলেন, কাউকে বলতেও পারছি না কেন মেয়ে বন্ধ্যা। তাহলে আবার মেয়েদের চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন উঠবে। মেয়েদের গার্মেন্টে চাকরির জন্য ঢাকায় নিয়ে এসেছি। তারা যদি নিজেরা বিয়ে শাদী করতে পারে করবে। আর রতœার জীবনটা তো নষ্ট হয়েই গেছে। আমার নিষ্পাপ মেয়েটির জীবন কিভাবে কাটবে, জানি না। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারের (ওসিসি) কো-অর্ডিনেটর ডা. বিলকিস বেগম জানান, ধর্ষণের শিকার শিশু ও কিশোরী মেয়েদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি থাকে অনেক বেশি। এদের মধ্যে কেউ কেউ নারীত্ব হারায়। আবার নারীত্ব না হারালেও এসব মেয়ে নানা ধরনের জটিল রোগে ভোগেন। সম্পাদনা: আজাদ হোসেন সুমন