ইসমাঈল হুসাইন ইমু: গুলশান ১ নম্বর ডিসিসি মার্কেটে আগুন কি নাশকতা নাকি দুর্ঘটনা তা নিয়ে ব্যবসায়ীদের দ্বিধা কাটছে না। গতকাল দিনভর ব্যবসায়ীদের কান্নায় অগ্নিকা-স্থলের আশপাশে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। রাত ৩টার পর থেকে মার্কেটের সামনে এসে নির্বাক দাঁড়িয়েছিলেন ‘এ কে ইন্টারন্যাশনাল’ নামক একটি ফাস্টফুডের দোকানের মালিক নাজমুল হুদা।
তিনি জানান, খবরটি তিনি রাত ৩টার দিকে পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। আগুনের লেলিহান শিখায় দোকানের নয়, যেন তার বুক জ্বলে যাচ্ছে। বহু কষ্টে জামানো আর ঋণের সবটুকুই বিনিয়োগ করেছিলেন তিনি। কদিন আগেও সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক থেকে ৭০ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে মালামাল তোলেন। কেক বিস্কুট, চকলেটের পাশাপাশি শিশু খাদ্যও ছিল তার দোকানে। মার্কেটের দোতলায় তার দোকানের পাশাপাশি আরও অনেক দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এ ঋণের বোঝা কিভাবে শোধ করবেন তা নিয়ে অনিশ্চয়তায় পড়েছেন তিনি।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ব্যবসায়ীরা ও তাদের স্বজনরা রাত থেকে আগুনের সাথে যুদ্ধ করে নিজের দোকান থেকে মালামাল বের করার চেষ্টা করেছেন। তবে বেশিরভাগ ব্যবসায়ী কোনো মালামাল বের করতে পারেনি।
মোহাম্মদ আলী নামের একজন কাঁচামাল ব্যবসায়ী বলেন, ওই মার্কেটে তিনি কাঁচা মালের ব্যবসা করেন। সেই সুবাদে প্রতি ভোর রাতেই তাকে দোকানে আসতে হয়। তবে গতকাল দোকানে আসার আগেই শুনতে হয়েছে আগুনের কথা। বাসা থেকে আসতে আসতে দোকানে থাকা সব মালামাল আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
ব্যবসায়ীদের সাথে আলাপাকালে জানা গেছে, ডিসিসি মার্কেটে ছোট-বড় প্রায় এক হাজার দোকান রয়েছে। এখানে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য থেকে মানুষের ব্যবহারের সকল ধরনের মালামাল পাওয়া যেত। সব ধরনের ক্রেতা আসতেন এই মার্কেটে। কূটনৈতিক পাড়ায় হওয়ায় বিদেশি ক্রেতারাও মার্কেট থেকে কেনাকাটা করতো বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। সম্পাদনা: এনামুল হক