উম্মুল ওয়ারা সুইটি: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, শেখ হাসিনার কিছু হলে সারা বাংলাদেশে আগুন জ্বলবে। সেই আগুনের লেলিহান শিখায় ষড়যন্ত্রকারীরা ছাই হয়ে যাবে। ষড়যন্ত্রকারীরা গাইবান্ধার এমপি লিটনকে হত্যা করে টেস্ট কেস করছে। ওবায়দুল কাদের ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ১৯৭৫ সাল আর ২০১৭ সাল এক নয়। কাউকে খুন করে পার পাওয়া যাবে না।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান কার্যালয় নগরভবনে মেয়র মোহাম্মদ হানিফ অডিটরিয়ামে ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। আগামী ১০ জানুয়ারি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত সকল কর্মসূচি সফল করার লক্ষ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র সাঈদ খোকনের সভাপতিত্বে সভায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক বাহা উদ্দিন নাসিম, এনামুল হক শামীম, নওফেল চৌধুরী, দফতর সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, গাইবান্ধায় লিটনকে কারা হত্যা করেছে, বাংলাদেশের মানুষ তা বুঝতে পেরেছে। ষড়যন্ত্রকারীরা লিটনকে মেরে টেস্ট কেস করছে। জনগণের ভোটে আওয়ামী লীগকে আর পরাজিত করা যাবে না। তাই আজ ষড়যন্ত্রকারীরা চক্রান্তের চোরাগলিতে এসে গিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, ১৯৭৫-এ বঙ্গবন্ধুকে যে বুলেট খুন করেছে। ২০১৭ সালে সেই বঙ্গবন্ধু হাজার গুণ শক্তিশালী। তার রক্তের উত্তরাধিকার শেখ হাসিনাও অনেক বেশি শক্তিশালী।
সেতুমন্ত্রী বলেন, মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন বছরের প্রথম সাম্প্রদায়িক হামলার শিকার। লিটনকে কারা হত্যা করেছে তা সারা দেশের মানুষের জানা হয়ে গেছে। এই হত্যা জনগণের ভোটে নির্বাচিত আওয়ামী লীগ সরকারের বিপক্ষে পুরনো ষড়যন্ত্রেরই আরেক রূপ। আওয়ামী লীগের বিশতম সম্মেলনের পর দলটি নবচেতনায় উদ্বেলিত হয়ে যাত্রা শুরু করেছে। এখন আওয়ামী লীগের যে কোনো সমাবেশেই জনপ্রতিনিধি ও তাদের ভোটারদের অংশগ্রহণে জনসমুদ্রে পরিণত হয়। সুতরাং এই দলের বিরুদ্ধে কোনো ষড়যন্ত্র করে পার পাওয়া যাবে না।
ওবায়দুল কাদের খাদ্যে ভেজাল মুক্ত এবং মাদক মুক্ত সমাজ গড়তে সিটি করপোরেশনের মেয়র এবং কাউন্সিলরদের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ভেজাল মুক্ত খাদ্য এবং মাদকের বিরুদ্ধে আপনারা প্রচার-প্রচারণা শুরু করুন। তিনি বলেন, আগামী ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে ঢাকায় সর্বকালের সর্ববৃহৎ জনসভার আয়োজন করা হবে। পাড়া, মহল্লায় মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী লোকদের সেখানে আনতে হবে। সম্পাদনা: শারমিন আজাদ