কিরণ সেখ: ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য দেশে আওয়ামী লীগের হুমকি সংস্কৃতির বহিঃপ্রকাশ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। গতকাল মঙ্গলবার নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। গত সোমবার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, পদ্মা সেতু নির্মাণে দুর্নীতি হয়েছে- এ ব্যাপারে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া যে বক্তব্য দিয়েছেন, তার প্রমাণ দিতে হবে। তিনি তথ্যপ্রমাণ দিতে না পারলে তার বক্তব্য প্রত্যাহার করতে হবে। নতুবা সরকার খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা করবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি। রিজভী বলেন, তথ্যপ্রমাণ কত দেব, শুধু বেগম জিয়া নন, বিভিন্ন গণমাধ্যম ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলো একই কথাই বলেছে। এর সঙ্গে আওয়ামী লীগের বড় একজন ব্যক্তি আছে…, কিন্তু তার নাম বলতে চাই না! তিনি বলেন, মানুষের কথা বন্ধ করতেই এ ধরনের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তারা দুর্নীতি করে বলেই মানুষের কথা বন্ধ করতে হুমকি দিচ্ছে। ডালের মধ্যে কালো পদার্থ আছে বলে ক্রুদ্ধ হয়ে হুমকি দিচ্ছেন। এটাই হচ্ছে নিষ্ঠুর স্বৈরাচারদের আচরণ। কোমলমতি শিশুদের বিনামূল্যে বই বিতরণের নামে প্রতারণা চলছে অভিযোগ করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, শিক্ষামন্ত্রী ঘটা করে বই বিতরণের উৎসব করলেও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে টাকা ছাড়া বই পাচ্ছে না শিশুরা, এমন অভিযোগ পত্র-পত্রিকায় ছাপা হয়েছে। উৎসবের নামে শিশুদের সঙ্গে বই বিতরণের প্রতারণা ও তামাশা বন্ধ করতে বিএনপির পক্ষ থেকে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান রিজভী। গণতন্ত্র হত্যা দিবস উপলক্ষে ঘোষিত সমাবেশের অনুমতি পেয়েছেন কি না- এই বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির মুখপাত্র বলেন, অনুমতির বিষয়ে ডিএমপি কখনো ১২ ঘণ্টা পর আবার কখনো ২৪ ঘণ্টা পরে জানানো হবে বলে বলছেন। এটাও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, যাতে আমরা বড় সমাবেশ করতে না পারি। তাই অনুমতি নিয়ে এমন করা হচ্ছে। তবে সরকারকে আমি বলতে চাই, ভয় পাবেন না। আমাদের সমাবেশ হবে শান্তিপূর্ণ। কারণ নিজেদের সমাবেশে কেউ বিশৃঙ্খলা করে না। সাম্প্রতিক বিএনপিপন্থি নির্বাচিত মেয়রদের বরখাস্তের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, নির্বাচিত মেয়রদের বরখাস্ত করাই হচ্ছে, ৫ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের গণতন্ত্র রক্ষার বিজয় দিবস। সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, আব্দুস সালাম আজাদ, এবিএম মোশাররফ হোসেন, তাইফুল ইসলাম টিপু, মুনির হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সম্পাদনা: আজাদ হোসেন সুমন