শাহানুজ্জামান টিটু: পর পর দুটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ না নিলে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত বিএনপিসহ ২৭ রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিলের সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে পরবর্তী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপিসহ ওই রাজনৈতিকদলগুলোর নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ক্ষেত্রে বাধ্যবাধকতা থেকে যাচ্ছে। যদি দলগুলো কোনো কারণে নির্বাচনে অংশ না নেয় তাহলে তাদের নিবন্ধন বাতিল হবে।
তবে এ বিষয়ে বিএনপির বক্তব্য এখনই কোনো মন্তব্য বা সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয় নয়। কারণ একটি স্বাধীন নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে রাষ্ট্রপতির আলোচনা চলছে। এছাড়া বিএনপির পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশন গঠনে ১৩ দফা প্রস্তাবনা তুলে ধরা হয়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে এবং কি ধরনের নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে এসব পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ করা হবে। এরপর বিএনপির পক্ষ থেকে সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে যাতে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে সে লক্ষ্যে নির্বাচন সহায়ক সরকারের রূপরেখা দেওয়া হবে। ফলে এখনই এ বিষয়টি নিয়ে কথা বলা ঠিক হবে না বলে জানিয়েছে বিএনপির এক নীতিনির্ধারক।
তবে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদীন ফারুক বলেন, বিএনপি নির্বাচনে যাবে না বা নির্বাচন করবে না একথা তো বিএনপির পক্ষ থেকে কেউ বলেননি। ২০১৪ সালে যেসব কারণে আমরা নির্বাচনে যাইনি তা এই তিন বছরে প্রমাণ হয়েছে যে আওয়ামী লীগের অধীনে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয় না। দুই নম্বর হলো, বিএনপি নির্বাচনে যাওয়ার জন্য যে পরিবেশ, যে নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন সহায়ক সরকার বিষয়গুলো নিয়ে গত দুই বছর ধরে কথা বলা শুরু করেছে বিএনপি। অতএব আমরা নির্বাচনে যাব না একথা আমার দলের নেতা বা কর্মী এখন পর্যন্ত বলেনি। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (৯০ এইচ) (১) দফায় (ই) উপ-দফায় বলা হয়েছে, নিবন্ধিত কোনো রাজনৈতিক দল পরপর দুবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলে নিবন্ধন বাতিল হবে। তবে (৯০ এইচ) (২) দফায় বলা হয়েছে, শর্ত থাকে যে দফা (১) এর (সি), (ডি) ও (ই) এর অধীন নিবন্ধন বাতিলের পূর্বে নির্বাচন কমিশন নির্ধারিত পদ্ধতিতে সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলকে শুনানির সুযোগ প্রদান করবে। সম্পাদনা: এনামুল হক