সাইদ রিপন: দেশের গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা সদরে ১৫৬টি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন স্থাপন প্রকল্পসহ ৬টি প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। গতকাল রাজধানীর শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে সভায় প্রকল্পগুলো অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা। প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ২ হাজার ৪৭৪ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ২ হাজার ২ কোটি ৩৫ লাখ এবং বৈদেশিক সহায়তা পাওয়া যাবে ৪৭২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
বৈঠক শেষে সংবাদ ব্রিফিং করেন পরিকল্পনা আ হ ম মুস্তফা কামাল। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা সচিব জিয়াউল ইসলাম এবং সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. শামসুল আলমসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
ব্রিফিং এ পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, জনবলের অভাবে কিছু কিছু প্রকল্প বাস্তবায়ন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। প্রকল্প পাশের আগে জনবলের বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন।
মন্ত্রী আরও জানান, দেশের নগরায়ন বিবেচনায় উপজেলাগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ সকল উপজেলা সদরে হালকা ও মাঝারি ধরনের শিল্পকারখানা, বেসরকারি বিভিন্ন অফিস ভবন, স্কুল কলেজ, হাসপাতাল ইত্যাদি নানা ধরনের অবকাঠমো রয়েছে। দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি এবং উন্নয়ন মূলত উপজেলা শহরগুলোকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে। ফলে এখানে জনবসতিও দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়ায় এসকল স্থানের অবকাঠামো ও জনগণের জানমাল বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও অগ্নিকা- থেকে রক্ষা করার জন্য ফায়ার সার্ভিসের গুরুত্ব অনেক। তাই আপাতত গুরুত্বপূর্ণ উপজেলায় ১৫৬টি ফায়ার সার্ভিস নির্মাণ করা হবে।
মন্ত্রী বলেন, পৃথিবীতে বিদ্যমান প্রায় সাত হাজার ভাষার মধ্যে বাংলা ভাষা সপ্তম বৃহত্তম ভাষা। তথ্য প্রযুক্তিতে বাংলা-ভাষা সমৃদ্ধ করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্যোগ নিয়েছেন। দৃষ্টি প্রতিবন্ধীরাও যাতে তথ্য প্রযুক্তিতে এ সুবিধা পেতে পারেন এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন। একনেক সভায় অনুমোদিত প্রকল্পগুলো হচ্ছে, নাঙ্গলবন্দ মহাষ্টমী পূণ্যস্নান উৎসবের অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প, এর ব্যয় ধরা হয়েছে ১২০ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। ভোলা জেলার মেঘনা নদীর ভাঙ্গন হতে মনপুরা উপজেলাধীন রামনেওয়াজ লঞ্চঘাট এলাকা এবং তেঁতুলিয়া নদীর ভাঙ্গন হতে চরফ্যাশন উপজেলাধীন ঘোষেরহাট লঞ্চঘাট এলাকা রক্ষা প্রকল্প, এর ব্যয় ধরা হয়েছে ২৮০ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক, গাজীপুর-এর এ্যাপ্রোচ সড়ক প্রশস্তকরণ ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প, এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৭০ কোটি ৩২ লাখ টাকা। গবেষণা ও উন্নয়নের মাধ্যমে তথ্য প্রযুক্তিতে বাংলা ভাষা সমৃদ্ধকরণ প্রকল্প, এর ব্যয় ধরা হয়েছে ১৫৯ কোটি ২ লাখ টাকা। সম্পাদনা: এনামুল হক