প্যানেল ও পুলভুক্ত প্রার্থীদের ভাগ্য খুলছে এ বছরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সকল শূন্যপদ পূরণ হচ্ছে
ফারুক আলম: সকল প্যানেল ও পুলভুক্ত প্রার্থীদের নিয়োগ নতুন বছরের চলতি মাসেই সম্পন্ন হবে এমনটাই আভাস দিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আইন শাখা। সম্প্রতি পুলভুক্ত ৭২টি রিটের ২৫শ প্রার্থী নিয়োগের বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরকে ব্যবস্থা নিতে বলেছে গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আইন শাখা। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, পুলভুক্ত ১৫ হাজার প্রার্থীর মধ্যে প্রথমে ২৫শ প্রার্থীর নিয়োগ সম্পন্ন করার পর, বাকি প্রার্থীদের নিয়োগ প্রক্রিয়া চলতি মাসেই শুরু হবে। এ বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক আবু হেনা মোস্তফা কামাল আমাদের অর্থনীতিকে বলেন, মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে ৭০টি রিটের পুলভুক্ত প্রার্থীদের বিষয়ে মাঠপর্যায়ে কাজ চলছে। তবে বাকিদের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হবে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে মহাপরিচালক বলেন, তাদের বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। মন্ত্রণালয় নির্দেশ দিলে আমরা সেভাবেই কাজ করবো।
সম্প্রতি পিইসি ও ইবতেদায়ী সমাপনী পরীক্ষা-২০১৬ এর ফলাফল প্রকাশের দিন সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান জানান, নতুন বছরে সারা দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সকল শূন্যপদ পূরণ করা হবে। আর কোনো প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকের ঘাটতি থাকবে না বলেও তিনি সবাইকে আশ্বস্ত করেন।
উল্লেখ্য, গত বছরের ফেব্রুয়ারির ৩ তারিখে ২০১১ সালের বিজ্ঞপ্তির আওতায় নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের করা ৭২টি রিট আবেদনের চূড়ান্ত শুনানি শেষে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য পুলভুক্ত প্রার্থীদের নিয়োগ দিতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১১ সালের ৪ আগস্ট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষকের শূন্যপদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি দেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদফতর। এরপর লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় ২৭ হাজার ৭২০ জন উত্তীর্ণ হন। তাদের মধ্য থেকে ১২ হাজার ৭০১ জনকে শূন্যপদে নিয়োগ দেওয়া হয়। বাকি ১৫ হাজার ১৯ জনকে রাখা হয় পুলভুক্ত হিসেবে। শিক্ষক পুল গঠনের জন্য ২০১২ সালে প্রাথমিক শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রথমে পরিপত্র জারি করে এবং দুই বছর পর ‘শিক্ষক পুল’ নীতিমালা করে। ওই নীতিমালায় ছয় মাসের অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়ার কথা বলে জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে প্রার্থীদের সইও নেওয়া হয়। কিন্তু উত্তীর্ণ প্রার্থীদের স্থায়ী নিয়োগ না দিয়ে ২০১৪ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য আবারও বিজ্ঞপ্তি দেয় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর। ওই বিজ্ঞপ্তির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে নিয়োগের অপেক্ষায় থাকা ৫২ জন আবেদনকারী ওই বছর রিট আবেদন করেন। প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২০১৪ সালের ১৯ অক্টোবর হাইকোর্ট রুল দেয় এবং নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির কার্যকারীতা স্থগিত করে। পরে একই বিষয়ে আরও ৭১টি রিট আবেদন ও রুল হয়। এসব রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে রায় দেয় আদালত। সম্পাদনা: এনামুল হক