আগের বছরের চেয়ে ২০১৬ সালে মিয়ানমারে অপরাধ কম ধর্ষণ দ্বিগুণ
আসাদুজ্জামান আকাশ: মায়ানমারে ২০১৬ সালে বিগত বছরের (২০১৫) তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। রেঙ্গুনের পুলিশ বাহিনী দেশটির অপরাধের একটি বার্ষিক বিবরণী প্রতিবেদন প্রকাশ করলে এই তথ্যটি প্রকাশ পায়। প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, ধর্ষণ মামলার সংখ্যা ২০১৫ সালে ছিল ১১০। ২০১৬ সালে সংখ্যাটি বৃদ্ধি পেয়ে ২২৯-এ দাঁড়ায়। যা ২০১৫ সালের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ। যারা ধর্ষণের শিকার হয়েছেন তারা অধিকাংশই অপ্রাপ্তবয়স্ক শিশু ছিল বলেও জানানো হয়।
প্রতিবেদনটি প্রকাশের পর মায়ানমারের নারী মানবাধিকার কর্মী ও আম জনতা শিশু ধর্ষণের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধির জন্য উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তারা ধর্ষণকারী ও যৌন অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানান। তারা ধর্ষণের বিরুদ্ধে ব্যাপক প্রচারাভিযান চালিয়েছে এবং ধর্ষণকারীদের শান্তি হিসেবে মৃত্যুদ-ের দাবি করেছেন বলে জানায় স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো।
স্থানীয় গণমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, দেশটির আইনপ্রণেতার সংসদে বিষয়টি উত্থাপন করেছেন। দেশটির সরকার অপ্রাপ্ত বয়স্ক শিশুদের ধর্ষণের হাত থেকে রক্ষার জন্য আইন সংশোধন করার প্রতিজ্ঞা করেছেন বলে জানানো হয় প্রতিবেদনগুলোতে।
গণমাধ্যম আগের তুলনায় শক্তিশালী হয়ে উঠায় ধর্ষণের মামলাগুলো নিয়ে জনগণ এখন বেশি সচেতন বলে জানান রেঙ্গুনের আঞ্চলিক আইনপ্রণেতা ডও চি পেয়ার। অপরাধ কর্মকা-গুলো নিয়ে মামলা দায়ের করতে মানুষ এখন একে অপরকে সাহায্য করছে বলেও জানান তিনি।
পুলিশ বার্ষিক বিবৃতিতে ২০১৬ সালে ধর্ষণ ছাড়াও অন্যান্য অপরাধগুলোর হিসেব তুলে ধরে। যেখানে দেখা যায় ২০১৬ সালে রেঙ্গুনে ১৮০টি খুন, একটি ডাকাতি, ৫টি চুরি ও প্রায় ৫১টি গণসম্মুখে অপরাধ সংগঠিত হয়েছে। তবে মজার বিষয় হচ্ছে এই সবগুলো অপরাধই ২০১৫ সালের তুলনায় কম ছিল। শুধুমাত্র ধর্ষণের পরিমাণটাই বৃদ্ধি পেয়েছে। দ্য ইরাবতি