স্ট্রেইট টাইমস’র নিবন্ধ রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশ মিয়ানমার সেতুবন্ধনে ইন্দোনেশিয়া
এম রবিউল্লাহ: মিয়ানমারে মানবিক বিপর্যয় ঠেকাতে কূটনৈতিকভাবে মিয়ানমার ও বাংলাদেশের মধ্যে সেতু বন্ধন করতে চায় ইন্দোনেশিয়া। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী রিতনো মারসোদির এমন ইচ্ছার কথা জানিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সিঙ্গাপুরের দ্য স্ট্রেইট টাইমস পত্রিকা।
রিতনো মারসোদি বলেন, মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিমদের নির্যাতন রোধে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্কের মধ্যে থেকে সহায়তার চেষ্টা করবে ইন্দোনেশিয়া। কেননা মনে রাখতে হবে রোহিঙ্গাদের মানবাধিকার খর্ব করার বিষয়টি অত্যন্ত স্পর্শকাতর।
মিসেস রিতনো আরও বলেন, কূটনৈতিকভাবে সচেতন হয়ে প্রচেষ্টা করবো যাতে নতুন করে কোনো ধরনের সহিংসতা না ছড়ায়। কারণ মিয়ানমারে সহিংসতা একটি স্পর্শকাতর ব্যাপার। এছাড়া মিয়ানমার যেহেতু একটি সার্বভৌম দেশ। সার্বভৌমত্ব দেশকে অবশ্যই সম্মান প্রদর্শন করা উচিৎ বলেও মনে করেন ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রী।
ইন্দোনেশিয়া সরকার গত সপ্তায় নুডলস, শিশুদের খাবার, গম ও কাপড়ের ১০টি মালবাহী কন্টেইনার পাঠিয়েছে রোহিঙ্গাদের সহায়তায়।
ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সম্প্রতি মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা অং সান সুচির সঙ্গে তার ব্যক্তি বাস ভবনে দেখা করেন। সেখানে রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে কথা বলেছেন সুচির সঙ্গে। এরপর তিনি মিয়ানমার সীমান্তে বাংলাদেশের কক্সবাজার পরিদর্শন করেন। কক্সবাজারে তিনি ভাসমান রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলেন।
অক্টোবরে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর গ্রেফতার অভিযানের পর থেকে প্রায় ৫০ হাজার রোহিঙ্গা মুসলিম দেশত্যাগে বাধ্য হয়েছে বলে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।
বৌদ্ধ রাষ্ট্র মিয়ানমার কয়েক দশক থেকে দাবি জানিয়ে আসছে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশ থেকে এসে মিয়ানমারে বাস শুরু করেছে। ফলে রোহিঙ্গা মুসলিমদের নাগরিকত্ব দিচ্ছে না মিয়ানমার সরকার। অপরদিকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে রোহিঙ্গারা মিয়ানমারেরই নাগরিক। তাই বাংলাদেশও রোহিঙ্গাদের শরণার্থী হিসেবে নিতে পারছে না। দুই দেশের এমন অস্বীকৃতিতে রোহিঙ্গারা সাগরে ভাসমান রয়েছে।
ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রিতনো মনে করেন রোহিঙ্গা ইস্যুটি সহজে সমাধানযোগ্য নয়। কারণ মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে ধর্মীয় বিষয়ে এখানে অনেক বেশি সহিংসতা হয়। সম্পাদনা: পরাগ মাঝি