এম রবিউল্লাহ: ব্যবসায়ীয়দের কাছ থেকে অবৈধভাবে অর্থ নেওয়ার অভিযোগে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনজামিন বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দেশটির পুলিশ। সোমবার তার বাসভবনে প্রায় ৩ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ।
স্থানীয় ও বিদেশি ব্যবসায়ীরা প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে কয়েক হাজার ডলার অর্থ দিয়েছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। তার বিরুদ্ধে আনা অবৈধ অর্থ নেওয়ার যে অভিযোগ উঠেছে তার দীর্ঘদিন ধরে তদন্ত চলছে।
এদিকে নেতানিয়াহু তার বিরুদ্ধে আনা অবৈধ অর্থ নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, কোনো ধরনের অবৈধ অর্থ দেশি বা বিদেশিদের কাছ থেকে নেননি । তবে বিদেশিরা তাকে বিভিন্ন ধরনের উপহার দিয়েছেন বলে বিবিসির এক সংবাদে বলা হয়।
গত জুলাইয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল অভিচাই ম্যানডেলব্লিট এ ধরনের অভিযোগে নেতানিয়াহু জড়িত থাকার বিষয়টি স্পষ্ট কি না, তা প্রাথমিক তদন্ত করে দেখতে নির্দেশ দেন। এই তদন্তে কী পাওয়া গেছে, তা জানা না গেলেও নেতানিয়াহু বারবারই দাবি করছেন, তিনি কোনো ভুল করেননি।
গত সপ্তাহের শেষের দিকে ফেসবুক পোস্টে নেতানিয়াহু তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, তার রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী ও কয়েকটি গণমাধ্যম তার সরকারের পতন ঘটাতে এসব অভিযোগ এনেছে।
জানা যায়, ফরাসি ধনকুবের আরনাউদ মিমরানের কাছ থেকে নেতানিয়াহু অর্থ নিয়েছেন। কার্বন নিঃসরণের অনুমতি ও এর ওপর আসা করের বাণিজ্য বাবদ ২৮৩ মিলিয়ন ইউরো কেলেঙ্কারির ঘটনায় জড়িত থাকার দায়ে মিমরানের আট বছরের কারাদ- হয়।
নেতানিয়াহুর দফতর জানায়, ২০০১ সালে জনগণের জন্য তহবিল গঠনের অংশ হিসেবে ও বিশ্বে ইসরায়েলের ভাবমূর্তি গড়ে তুলতে নেতানিয়াহু মিমরানের কাছ থেকে ৪০ হাজার ডলার গ্রহণ করেন। তখন তিনি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন না।
জার্মানির কোম্পানির কাছ থেকে সাবমেরিন কেনার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করায় তার ওপর নজরদারি শুরু হয়। গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, নেতানিয়াহুর পারিবারিক আইনজীবী ডেভিড শিমরন জার্মানির ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থোসেনক্রাপের এজেন্ট। ওই প্রতিষ্ঠানটি ডলফিন সাবমেরিন তৈরি করেছে। বিবিসি ও নিউ ইয়র্ক টাইমস