কিরণ সেখ: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ‘ডেড বডি’র ভয় দেখিয়ে বর্তমান ক্ষমতাসীনরা রওশন এরশাদকে নির্বাচনে নিয়েছিলেন। তবে এটা অসমাপ্ত তথ্য। সুতরাং, এই বিষয়ে প্রমাণ চাইলে আমি দিতে পারব না।
গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ ডেমোক্রেটিক কাউন্সিল আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সরকার আদালতকে ব্যবহার করে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সাথে প্রতারণা করেছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, এরশাদ বলেছেন, ৫ জানুয়ারি নির্বাচনে না গেলে আমাকে ফাঁসি দেওয়া হতো। তার এ কথায় প্রমাণিত হয়, সরকার আদালতকে ব্যবহার করে তার সাথে প্রতারণা করছে। তার ২০ বছর আগের মামলার রায় ঝুলিয়ে রেখে তাকে ব্যবহার করছে। ‘কলঙ্কিত ৫ জানুয়ারির নির্বাচন এবং আজকের প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক এ সভায় তিনি বলেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশন স্বাধীন, না হলে এত প্রকল্প করতে পারত না। ফলে শুধু নির্বাচন কমিশন শক্তিশালী হলেই সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। এর জন্য নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকার গঠন করতে। তবে সরকার যদি সহায়ক সরকার বলতে না চায়, তাহলে নিরপেক্ষ সরকার বলুন, আর যে সরকারই বলুন, এতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই।
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন প্রসঙ্গে গয়েশ্বর বলেন, আমি নির্বাচনের আগেই বলেছিলাম সরকার নাসিকে নতুন কৌশল অবলম্বন করবে। সেটাই নির্বাচনের পরে প্রমাণিত হয়েছে। নাসিকে ভোট ডাকাতি হয়নি, চুরি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা এইচটি ইমামকে জিজ্ঞাসা করলেই পাওয়া যাবে। কারণ তিনি মাঝে মাঝে সত্য কথা বলেন। শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচনে যাওয়া বিএনপির জন্য মহাপাপ হবে বলেও মন্তব্য করেন গয়েশ্বর।
৫ জানুয়ারি বিএনপিকে মাঠে নামতে দেওয়া হবে না- সরকারের মন্ত্রীদের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, গত এক বছর আমরা শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করেছি। কিন্তু সরকার আমাদের মাঠে নামতে দেবে না, একথা বলে তারা দেশকে নৈরাজ্যের দিকে নেওয়ার চেষ্টা করছে। আয়োজক সংগঠনের সভাপতি এম এ হালিমের সভাপতিত্বে সভায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। সম্পাদনা: আজাদ হোসেন সুমন