নাশরাত আর্শিয়ানা চৌধুরী: গুলশানে ডিসিসি বা ডিএনসিসি মার্কেটে আগুন লাগার ঘটনায় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি করেছে বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস এ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স। ওই কমিটিতে উত্তর সিটি কর্পোরেশনের দুইজন সদস্য রয়েছে। এছাড়া বাকিরা ফায়ার সার্ভিসের সদস্য। ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী আহমেদ খান পিএসসি বলেন, আমরা একটি তদন্ত কমিটি করেছি। এই কমিটি আপাতত পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট হলেও পরে এই কমিটির সদস্য সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে। সেখানে বেশ কয়েকজন সদস্যকে কো-অপ্ট করা হবে। এরমধ্যে বুয়েটের বিশেষজ্ঞকে কো-অপ্ট করা হবে।
ঘটনার প্রাথমিক তদন্ত শুরু করেছে কমিটি। ওই কমিটিকে আগামী সাত কর্মদিবস সময় দেওয়া হয়েছে। সেই হিসাবে কমিটিকে ১২ জানুয়ারি রিপোর্ট দিতে হবে।
ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক বলেন, সাত কর্মদিবসে তদন্ত কমিটি পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট দিতে না পারলেও প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্ট দিতে পারবে বলে আমরা আশা করছি।। তারা এরপর পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করার জন্য কাজ করবে ও রিপোর্ট দিবে।
সূত্র জানায়, তদন্তে আগুন লাগার কারণ,অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থা, আগুন লাগার বিষয়টি ব্যবসায়ীরা বলছে ষড়যন্ত্র, অভিযোগ করেছে ওই মাকের্টটি এখন যে অবস্থায় আছে সেটি তা থাকবে না। এটি বহুতল ভবন করার জন্য মেট্রো গ্রুপ নামে একটি গ্রুপের সঙ্গে সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ চুক্তি করেছে। তারা আরও অভিযোগ করেছে, সিটি কর্পোরেশন মেট্রো গ্রুপকে সেটি দিতে চায় আর ব্যবসায়ীরা মনে করছে তাদেরকে উচ্ছেদ করার জন্য ওই আগুন লাগানো হয়েছে। এমন অভিযোগ আমাদের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে আসেনি। কিন্তু ঘটনা ঘটার পর যত ধরনের অভিযোগ উঠেছে সব অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে। এই ব্যাপারেও তদন্ত কমিটি খতিয়ে দেখবে। সূত্র জানায়, আগুন লাগার ঘটনাটি নিছক দূর্ঘটনা, নাকি নাশকতা। নাকি দোকান মালিকদের উচ্ছেদ করার অংশ। এছাড়াও ব্যবসায়ীরা আরও যে সব অভিযোগ করছে আগুন লাগার পেছনে তদন্ত কমিটি সবগুলো দিক সামনে রেখেই তদন্ত করবে। এই ব্যাপারে ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক বলেন, তদন্ত করার আগে আসলে বোঝা যাবে না কি কারণে আগুন লেগেছে। ব্যবসায়ীরা যেসব অভিযোগ করেছে সেগুলোও খতিয়ে দেখা হবে। তবে তাদেরকে উচ্ছেদ করার জন্য আগুন লাগানো হয়েছে বলে যে সব কথা আসছে এখানে আমরা কোনো পার্ট না। তাই এই ব্যাপারে আমাদের বলার কিছুই নাই। নিরপেক্ষভাবে তদন্ত হবে। প্রকৃত ঘটনা বের করা হবে। ভবিষ্যতে এই ধরনের আর কোনো ঘটনা যাতে না ঘটে সেই জন্য কমিটি সুপারিশও করবে। সম্পাদনা: আজাদ হোসেন সুমন