রাজস্ব ফাঁকি রোধে পার্টনারশিপ ও ইসিআর ব্যবহার করুন : এনবিআর চেয়ারম্যান
জাফর আহমদ: বাংলাদেশকে ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করতে রাজস্ব আদায় বাড়াতে হবে। আর সে লক্ষ্যে পৌঁছতে রাজস্ব ফাঁকি রোধে অংশি প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণ ও ইসিআর-এর ব্যবহার নিশ্চিত করার তাগিদ দিয়েছেন রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান। তিনি বলেন, ভোক্তা থেকে ব্যবসায়ীরা ভ্যাট নিলেও অনেক সময় সঠিকভাবে সরকারি কোষাগারে তা জমা দেন না। ভ্যাট রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক করে ভ্যাট আদায় করতে পারে এনবিআর। যৌথ মূলধনী কোম্পানিসহ সংশ্লিষ্টদের সাথে পার্টনারশিপ ও ইসিআর ব্যবহার বাড়ালে ভ্যাট ফাঁকি কমে যাবে।
রাজস্ব সুরক্ষা ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণে বহুমাত্রিক কার্যক্রম গ্রহণ করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক, কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব), যৌথ মূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের নিবন্ধকের কার্যালয় (আরজেএসসি), জাতীয় ভোক্তা অধিকার ও সংরক্ষণ অধিদফতর, পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রের্ডমার্কস অধিদফতর, ইন্টেলেকচুুয়াল প্রোপার্টি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইপিএবি) ও বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার এন্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) এর কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান।
ক্যাব-এর সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, দেশের উন্নয়নের জন্য প্রচুর অর্থের প্রয়োজন। জনগণ এ অর্থ প্রদান করেন। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের দায়িত্ব যথাযথভাবে এ অর্থ সংগ্রহ করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেয়। গত দুই অর্থবছরে উচ্চাবিলাসী লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড তা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। এ জন্য তিনি বিগত কয়েক বছর রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ধারাবাহিক সাফল্যের জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের বর্তমান নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
বেসিস সভাপতি মোস্তফা জব্বার এনবিআরের আধুনিকায়ন কার্যক্রম জোরদার করার জন্য ডিজিটাল এনবিআর গঠনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, রাজস্ব কর্মকর্তাদের আধুনিক তথ্য-প্রযুক্তি বিষয়ক পেশাগত জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জনের কোনো বিকল্প নেই। কর্মকর্তাদের রাজস্ব সংগ্রহের ক্ষেত্রে বড় চ্যালেঞ্জ হলো ডিজিটালাইজেশন প্রক্রিয়া পরিপূর্ণভাবে চালু না হওয়া। এক্ষেত্রে বেসিস থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে। তিনি আরও বলেন, এনবিআর ডিজিটাল হলে রাজস্ব বাড়বে। ব্যবসা-বাণিজ্য ডিজিটাল হতে হবে। সফটওয়্যারের ক্ষেত্রে বাংলা ভাষার ব্যবহার বৃদ্ধি করতে হবে। দেশিয় শিল্পের সুরক্ষার্থে উৎপাদনকারী দেশিয় শিল্প প্রতিষ্ঠানের জন্য আমদানিকৃত কাঁচামাল ও যন্ত্রাংশের ক্ষেত্রে সুবিধা বাড়ানোর পাশাপাশি ‘ফিনিশড প্রোডাক্ট’ আমদানির ক্ষেত্রে নির্ধারিত পণ্যে অধিক হারে শুল্কারোপ করার আহ্বান জানান।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেযারম্যান মো. নজিবুর রহমান সভাপতির বক্তব্যে বলেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এখন একটি ব্যবসা-বান্ধব, শিল্প-বান্ধব ও বিনিয়োগ-বান্ধব জনমুখী প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। এনবিআরের সকল কাজে সুশাসনের বাতাবরণ বইছে এখন। করদাতারা কর প্রদানের ক্ষেত্রে আগের তুলনায় অনেক বেশি উৎসাহিত ও উদ্ধুদ্ধ। যার প্রমাণ আমরা দেখতে পাচ্ছি, ই-টিআইএন নিবন্ধন ইতোমধ্যে ২৬ লাখ ৩০ হাজার পেরিয়ে গেছে। সম্পাদনা: আজাদ হোসেন সুমন