তীর্থযাত্রায় ৬০০ কিমি হাঁটলো যে কুকুর
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : একটুখানি যতœ কিংবা এক চিমটি খাবার, কুকুরকে যে অনুগত বা ভক্ত করে তোলে তার নজির ভুরি ভুরি। প্রাণী হিসেবে কুকুরের পরিচিতও সেজন্য যতœ-আত্তি পাওয়ার শর্তে ‘প্রভুভক্ত’ হিসেবে। কিন্তু সেই ভক্তি একটানা ৬০০ কিলোমিটার হেঁটেও দেখানো সম্ভব? বাংলানিউজ
এই অবিশ্বাস্য কীর্তিই দেখালো ভারতের কেরালা অঙ্গরাজ্যের মালু নামে একটি কুকুর। নবীন নামে ৩৮ বছর বয়সী এক পূণ্যার্থীর সঙ্গে টানা ১৬ দিন হেঁটে এই ভক্তি দেখিয়েছে নারী কুকুরটি। ৮ ডিসেম্বর থেকে ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত নবীনের সঙ্গে মালুর এ অবিশ্বাস্য কীর্তি এখন ভারতীয় গণমাধ্যমে অন্যতম আলোচিত বিষয়। সংবাদমাধ্যমের খবরে জানা যায়, ৭ ডিসেম্বর কেরালার উদুপির কোলার এলাকার মুকাম্বিকা মন্দির থেকে পথনামথিত্তের দুর্গম তীর্থস্থান শবরিমালার উদ্দেশে পায়ে হেঁটে যাত্রা করেন রাজ্যের কোজিকোদের বাসিন্দা নবীন। ৭০০ কিলোমিটার পথের এ যাত্রায় দ্বিতীয় দিন তার সামনে পড়ে মালু। কোনো আচরণে কুকুরটি তার ভক্ত হয়ে যায়। কিন্তু ভক্তি এতোই বেশি এসে যায় যে, শবরিমালায় পৌঁছানো পর্যন্ত পরবর্তী ১৬ দিন নবীনের সঙ্গে হেঁটেছে মালু।
কুকুরটির অবিশ্বাস্য তীর্থযাত্রায় হতবাক পূণ্যার্থী নবীন বলেন, ‘যেদিন প্রথম দেখা, আমি প্রায় ৮০ কিলোমিটার হেঁটে এসেছি, সেদিন দেখলাম আমার বিপরীত দিক থেকে ও আসছিল। তারপর পিছু নিলো। পিছু পিছু হাঁটতে হাঁটতে একেবারে তীর্থস্থান পর্যন্তই গেলো সে।’
তাকে অনেকবার ফেরত দেওয়ার চেষ্টা করেও পারেননি নবীন। বলেন, ‘ওকে কয়েকবার আমি ফেরাতে চেয়েছি। প্রতিদিনই পা দেখিয়ে দূর দূর করে তাড়ানোর চেষ্টা করেছি। কিন্তু ও আমার ২০ মিটারের মতো দূরত্বে সামনে সামনে হাঁটতেই থাকলো। কখনো কখনো পিছেও ছিল অবশ্য।’তীর্থযাত্রার সহযোগী মালুর সঙ্গে নবীনপ্রথম দিকে অনেক বিরক্তি এলেও নবীন পরে দেখলেন তার দিনরাতের একাকিত্বের যাত্রায় এই মালুই সঙ্গ দিচ্ছে। এমনকি কিছু ক্ষেত্রে তাকে পাহারাদারেরও ভূমিকায় দেখলেন পূণ্যার্থী নবীন। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ