উম্মুল ওয়ারা সুইটি: জন্মপরিচয়, বংশ মর্যাদা কিংবা পরিবারের আর্থিক অবস্থার বিবেচনায় শিশুর বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয়। তাই শিশুদের বৈষম্যহীনভাবে বেড়ে ওঠার জন্য সচ্ছ্বল এবং শিক্ষিত মানুষদের এগিয়ে আসতে হবে। এরজন্য সরকারের পাশাপাশি সামাজিক উদ্যোগ খুব প্রয়োজন। নিম্ন শ্রেণী থেকে উচ্চবিত্ত পর্যন্ত শিশু যে পরিবারেই জন্মগ্রহণ করুক না কেন, তার জন্য একটি জায়গা থাকতে হবে যেখানে সমতা একটু লেশ হলেও থাকে।
শিশুদের উপর বৈষম্যমূলক আচরণ যে সমাজে যত কম হবে, সহিংসতা এবং অপরাধ ধীরে ধীর ততটাই কমতে থাকবে। তাই এই বৈষম্য থেকে বেরিয়ে আসতে সরকারকে উদ্যোগ নিতে হবে।
শিশু সংগঠক কেন্দ্রীয় খেলাঘরের সভাপতি অধ্যাপক মাহফুজা খাতুন আরও বলেন, এ দায়িত্ব এখন সরকারকে নিতে হবে। শিশু সংগঠকদের নিয়ে এই সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তিনি। মাহফুজা খানম বলেন, সব শিশুই মেধা নিয়ে জন্মগ্রহণ করে। কিন্তু দারিদ্র এবং সুযোগ-সুবিধার অভাবে গরিব ঘরের শিশুরা ঝরে পড়ে।
শিশু সংগঠক ডা. লেলিন চৌধুরী বলেন, বৈষম্যের মধ্যে প্রজন্ম বড় হলে সেটা কি ভয়াবহ হতে পারে তা আজকে বাংলাদেশে ধর্ষণ এবং শিশু নির্যাতন থেকেই আমরা বুঝতে পারছি। তিনি বলেন, উচ্চবিত্তরা মনে করছেন তার শিশুটি ভালো পরিবেশ পাচ্ছে। সমস্যা কি। গরিব এবং সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের নিয়ে ভাবার সময় তার নেই। ফলে একটা বড় রকমের ক্রোধ বিদ্বেষ তৈরি হচ্ছে। এটি রোধ করতে হলে মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্ত শ্রেণীকে এগিয়ে আসতে হবে। শিশু সংগঠন করতে হবে।