ইমরুল শাহেদ: মিয়ানমার সরকার গঠিত কমিশন বলেছে, রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা মুসলমানদের উপর গণহত্যা চালানোর কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। সেখানে ব্যাপক আকারে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে বলেও পর্যাপ্ত প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে নিরাপত্তা বাহিনীর হত্যাযজ্ঞ নিয়ে কিছু উল্লেখ করা হয়নি প্রতিবেদনটিতে।
গত অক্টোবর মাসে সেনাবাহিনী রাখাইন রাজ্যের রোহিঙ্গাদের উপর যে নির্যাতন চালিয়েছে তার অনেক অভিযোগ রয়েছে। কেউ কেউ বলেছেন রাজ্যটিতে একটি জাতিকে নিশ্চিহ্ন করার অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এই নিয়ে মিয়ানমারের বর্তমান নেত্রী শান্তিতে নোবেল পাওয়া অং সান সুচি আন্তর্জাতিক সমালোচনার মুখে পড়েছেন। সরকার গঠিত এই কমিশনটির প্রধান হলেন জেনারেল মিন্ত সুয়ে। তিনি এ মাসের শেষ দিকে এই নিয়ে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন জমা দেবেন। তবে প্রতিবেদনের সংক্ষিপ্তাসারে এই যুক্তিতে সব অভিযোগ উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে যে, রাখাইন রাজ্যে এখনো অনেক রোহিঙ্গা বাস করছেন এবং সেখান ধর্মীয় ভবনগুলোও অক্ষুণœ আছে। তারা বলেছে, নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে অনেকেই ধর্ষিতা হয়েছে বলে যে ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে, তার পর্যাপ্ত প্রমাণ পাননি তারা। অন্যান্য নির্যাতনের অভিযোগ এখনো খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অদ্ভুত বিষয় হলো বার্মিজ নিরাপত্তাবাহিনী যে জঙ্গি হামলার অজুহাত দেখিয়ে সমষ্টিগতভাবে বেসামরিক নিরীহ লোকদের হত্যা করেছে সে বিষয়ে কিছুই বলা হয়নি। বিবিসির মিয়ানমার প্রতিনিধি জোহান ফিশার বলেছেন, এই ঘটনার সূত্রপাত তিন মাস আগে হলেও এই সংকট সমাধানে কোনো অগ্রগতি নেই। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শত শত রোহিঙ্গা গ্রেফতার হয়েছে। কিন্তু সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা খুব সহজেই এখনো এদিক-ওদিক ঘুরে বেড়াচ্ছে। লুট হয়ে যাওয়া অস্ত্র উদ্ধার করাও তাদের পক্ষে সম্ভব হয়নি। সূত্র: বিবিসি